কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক ও অলি-গলির রাস্তা এবং ফুটপাথ জবর দখলমুক্ত করতে কক্সবাজার পৌরসভার উদ্যোগে বহুল প্রত্যাশিত অবৈধ দখল উচ্ছেদ অভিযান আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) শুরু হয়েছে।
দুপুর ১২টায় শুরু হওয়া অভিযানে সড়ক ও ফুটপাথে অবৈধভাবে গড়ে তোলা যত্রতত্র গাড়ি স্ট্যান্ডসহ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এসময় সড়কে নিয়ম না মেনে পার্কিং করায় অর্ধশত মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে পৌর কর্তৃপক্ষ দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সড়ক দিয়ে অভিযান শুরু করে।
প্রথম দিন জেলা সদর হাসপাতালের মোড় হয়ে ভোলা বাবুর পেট্রোলপাম্প, পুরাতন পান বাজার সড়ক, কৃষি অফিস সড়ক হয়ে প্রধান সড়কের ফজল মার্কেট এলাকার সব ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।
অভিযানে কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার সালাম, প্যানেল মেয়র-১ সালাউদ্দিন সেতু, কাউন্সিলর মিজানুর রহমান ও এহেসান উল্লাহসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার ও বুধবার ২ দিন ধরে কক্সবাজার শহরে মাইকিং করে সকল প্রকার অবৈধ দখলদারদের স্বেচ্ছায় দখল ছেড়ে দেয়ার আহ্বান জানানো হয় এবং বুধবার বিকালে পৌরসভার উদ্যোগে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মেয়র মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, “কক্সবাজার শহরের প্রধান সড়ক থেকে অলি-গলি পর্যন্ত যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং, ফুটপাত দখল করে রাখার কারণে এক-দেড় কিলোমিটার সড়ক যেতে এক থেকে দুই ঘন্টা সময় নষ্ট হচ্ছে। হাসপাতালে মুমূর্ষু রোগী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে নানা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।”
মেয়র বলেন, “দেড় মাস আগে আমি মেয়রের দায়িত্ব নিয়েছি। নির্বাচনে ওয়াদা দিয়েছিলাম কক্সবাজারকে একটি পর্যটনবান্ধব ও পরিচ্ছন্ন শহর হিসাবে গড়ে তুলব। এ জন্য অবৈধ দখলদারদের স্বেচ্ছায় দখল ছেড়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রচারণা চালিয়েছি। অনেকের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগও করেছি।”
তিনি বলেন, “পৌরসভার নালা-নর্দমা, জমিও জবরদখল মুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে উচ্ছেদ করার পর নতুন করে যাতে দখল না হয় সেজন্য ৩টি মনিটরিং কমিটিও করা হয়েছে। যখনই জবর দখল হবে তখনই উচ্ছেদ চালানো হবে। প্রয়োজনে রাতেও অভিযান চালানো হবে।”
কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার সালাম জানান, অভিযানে জব্দ করা মোটরসাইকেলগুলোর মালিককে সংশ্লিষ্ট আইনে জরিমানা করা হবে।