হাংজুর বক্সিং রিংয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল সমগ্র বাংলাদেশ। ১৯৮৬ সালের পর এশিয়াডে ব্যক্তিগত পদকের হাতছানি ছিল। শেষ পর্যন্ত জাপানি বক্সার হারদা সুদাই জয়ী হওয়ায় কোয়ার্টার ফাইনালেই থামতে হয়েছে সেলিম হোসেনকে। সেমিফাইনালে উঠতে না পারায় পদকও জেতা হয়নি। সেলিম হারলেও বেশ ভালো লড়াই করেছেন। প্রতি রাউন্ডেই জাপানী বক্সারকে ডিফেন্সের পাশাপাশি আক্রমণ করেছেন। প্রথম দুই রাউন্ড জাপানী বক্সার এগিয়ে থাকায় জয়ের কাছাকাছি ছিলেন। তৃতীয় রাউন্ডে সেলিম বেশ কয়েকটি পাঞ্চ করেন। এতে কুপোকাতও হয়েছেন জাপানী বক্সার। এরপরও তিন রাউন্ড শেষে ৫–০ পয়েন্টে হেরেছেন সেলিম। শক্তি, সামর্থ্যে পার্থক্য থাকলেও রিংয়ে সেলিম সেরাটাই দিয়েছেন। এবার এশিয়াডে বক্সিং নিয়ে বাংলাদেশ আশাবাদী ছিল। সেই আশার কেন্দ্রে ছিলেন নারী প্রবাসী বক্সার জিনাত ফেরদৌস। সেই জিনাত দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে বিদায় নিলেও সেলিম কোয়ার্টারে উঠে চমক দিয়েছিলেন। কোয়ার্টার ফাইনালে শক্তিশালী জাপানী বক্সারকে পরাজিত করতে পারলে সেমির পাশাপাশি ব্রোঞ্জও নিশ্চিত হতো।