চুক্তি অনুযায়ী টাকা পরিশোধের পরও ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিয়ে টাকা আত্মসাতের দায়ে রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জিটিসি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের এমডি মোহাম্মদ মোরশেদ প্রকাশ মোরশেদ বিল্লাহকে দেড় বছরের কারাদণ্ড ও ১৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
মোরশেদ বিল্লাহ ফটিকছড়ির ধর্মপুর আজাদী বাজার বিল্লাল মাঝির বাড়ি এলাকার আবুল খায়েরের ছেলে। গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফ উদ্দিন এই রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামি কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন না। এ জন্য তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানা ইস্যু করা হয়েছে। রায়ে মামলার অপর পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
মামলার বাদীর আইনজীবী জিয়া হাবীব আহসান আজাদীকে বলেন, চুক্তি অনুযায়ী টাকা পরিশোধের পরও ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দেওয়া মূলত রিয়েল এস্টেট প্রতারণা। রিয়েল এস্টেট উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা আইনে আমার মক্কেল অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মোহাম্মদ শিহাব উদ্দীন ইমাম আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর মামলাটি দায়ের করেন। পরবর্তীতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে এবং অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। ৫ আসামিকে খালাস প্রদানের বিষয়ে রায়ের বিস্তারিত কপি দেখে পরবর্তীতে প্রয়োজন মনে করলে উচ্চ আদালতে আপিল দায়ের করা হবে।
মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান জিটিসি প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের সাথে নগরীর ডবলমুরিং থানাধীন পাহাড়তলী মৌজা এলাকার একটি নির্মানাধীন বহুতল ভবনের ৮ম তলায় ১৩১৮ বর্গফুট পরিমাপের একটি ফ্ল্যাট ক্রয়ের জন্য একটি রেজিস্ট্রার্ড চুক্তিনামা সম্পাদন করেন। চুক্তিনামার শর্ত অনুযায়ী বাদী আসামিদেরকে সর্বমোট ১২ লাখ ৮০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। পরবর্তীতে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে চুক্তিনামার শর্ত অনুযায়ী যথাসময়ে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে না দিয়ে বাদীসহ অসংখ্য গ্রাহকের টাকা ফেরৎ না দিয়ে আত্মসাত করেন।