আরাকান রোহিঙ্গা স্যালুভেশন আর্মি (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ আবু জুনুনীর একান্ত সহকারী এরশাদ ওরফে নোমান চৌধুরী অবশেষে র্যাবের জালে ধরা পড়েছে। সোমবার (২ অক্টোবর) রাত দেড় টায় উখিয়ার কুতুপালং থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নোমান চৌধুরী বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু কোনারপাড়ার সাব্বির আহমেদের পুত্র।
সোমবার (২ অক্টোবর) বেলা ১২ টার দিকে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান র্যাব—১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।
তিনি বলেন, আরসা প্রধান আতাউল্লাহর নেতৃত্বে রোহিঙ্গাদের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার অন্যতম ব্যক্তি হিসেবে কাজ করতো নোমান। মাত্র ১৬ বছর বয়সে আমেরিকা প্রবাসী পিতার মাধ্যমে আরসা প্রধান আতা উল্লাহ আবু জুনুনীর সাথে নোমানের পরিচয় হয়।
পরিচয়ের অল্প সময়ের মধ্যে নোমান জুনুনীর প্রেমে পড়ে আরসায় যোগ দেন। ধীরে ধীরে জুনুনীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয় নোমান। সে সুবাধে নোমানকে নিজের একান্ত সহকারী (বডিগার্ড) হিসেবে নিয়োগ দেয় আতাউল্লাহ। বিভিন্ন ছদ্মবেশে নোমান কাজ করতো।
বিশেষ করে আরসার অর্থের সমন্বয়ক ছিল সে। তার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা আসতো। এছাড়া আরসার ওষুধ, ওয়াকিটকি, খাবার, অস্ত্র, পোশাক ও বোমা তৈরির সরঞ্জাম যোগাড়ের কাছ ছিল নোমানের।
লে. কর্ণেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন আরও বলেন, ২০২২ সালের গত ১৪ নভেম্বর সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এবং র্যাব—১৫ এর যৌথ অভিযানের সময় রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কক্সবাজার শাখার স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশদি হত্যাকান্ড ও র্যাবের কনস্টেবল সোহেল বড়ুয়া গুরুতর আহতের হামলায় সরাসরি নোমান অংশ নেয়।
এছাড়া ২০১৬ সালের ৯ অক্টোবরে মিয়ানমার বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) মংডু অঞ্চলের সদর দপ্তরে হামলায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে অস্ত্র লুট ও ১৪ জন জওয়ান হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ছিল আরসার এই শীর্ষ সন্ত্রাসী।
তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি। এর আগে আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী আসামী হাফেজ নুর মোহাম্মদ এবং রহিমুল্লাহ ওরফে মুছাকেও গ্রেফতার করে র্যাব—১৫।