সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে ভূমিকা রাখছে কাগতিয়া দরবার

ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) মাহফিলে বক্তারা

| বৃহস্পতিবার , ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৮:৫৮ পূর্বাহ্ণ

নগরীর বায়েজিদস্থ গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (.) মাহফিলে বক্তারা বলেছেন, ধূলির ধরায় রাহমাতুললিল আলামিন হয়ে শুভাগমন করেন হাবীবে খোদা (.)। যাঁর আগমনের সুসংবাদ দিয়ে গেছেন পূর্ববর্তী সকল পয়গম্বরগণ। পৌত্তলিকতার পাপাচারে নিমজ্জিত মানব সমপ্রদায়কে তিনি হেদায়তের আলোয় উদ্ভাসিত করেছেন, আল্লাহর মনোনীত দ্বীনইসলামকে প্রতিষ্ঠা ও পূর্ণতা দান করেছেন। অন্ধকারাচ্ছন্ন আইয়্যামে জাহেলিয়াতকে রূপান্তর করেছেন সোনালী যুগে। সমুন্নত চারিত্রিক মাধুর্য ও মহিমান্বিত আদর্শে বলীয়ান হয়ে বর্বর মানবজাতি উপনীত হয়েছিল সভ্যতার সুউচ্চ শিখরে। বক্তারা আরো বলেন, চৌদ্দশত বছর পরে এসে নবীজির মুহাব্বতের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন হযরত শায়খ ছৈয়্যদ গাউছুল আজম (রা.)। যাঁর চরিত্রে প্রস্ফুটিত হয় নবীজির সকল সুন্নাহ। নবীজির মুহাব্বতে দৈনিক ১১১১ বার দরুদে মোস্তফা পাঠের তালিম দিয়েছেন। এই তরিক্বতে আরো রয়েছে ফাতেহা শরীফ আদায়ের মাধ্যমে প্রতিদিন নবীজির মিলাদের অপূর্ব সুযোগ। মিলাদে মোস্তফার প্রকৃত আদর্শ গাউছুল আজমের দরবারে রয়েছে। বর্তমানে এই রাসুলনোমা তরিক্বতের মহান দায়িত্ব পালন করছেন তাঁরই একমাত্র প্রতিনিধি মাননীয় মোর্শেদে আজম মাদ্দাজিল্লুহুল আলী। হেদায়তের আলোকবর্তিকা হয়ে তিনি লক্ষ লক্ষ পথহারা যুবকদের ক্বলবে নূরে মোস্তফা বিতরণ করে আল্লাহ ও রাসুল (.)-এঁর পথে ফিরিয়ে আনছেন। আধ্যাত্মিকতা চর্চার আলোকে দেশ ও জাতির কল্যাণে মাতৃভূমিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথ দেখিয়েছেন। নফসানিয়্যত অবদমিত করে রুহানিয়্যত বিকাশের মাধ্যমে সমপ্রীতি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন।

গতকাল বুধবার বাদে যোহর হতে নগরীর বায়েজিদস্থ গাউছুল আজম কমপ্লেক্সে ৭০ তম জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (.) মাহফিলে ধর্মপ্রাণ মুসলমানের উদ্দেশ্যে বক্তারা একথা বলেন। চবি সিন্ডিকেট ও সিনেট সদস্য এবং সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবুল মনছুরের সভাপতিত্বে মিলাদুন্নবী (.) মাহফিলে বক্তব্য দেন, মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল আলম, মহাসচিব অধ্যাপক মোহাম্মদ ফোরকান মিয়া, মাওলানা মুহাম্মদ শফিউল আলম প্রমুখ।

মুনিরীয়া যুব তবলীগ কমিটির উদ্যোগে পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদে মিলাদুন্নবী (.) মাহফিল উপলক্ষে গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল বাদে যোহর খতমে কোরআনে করিম ও পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (.) শীর্ষক আলোচনা, বাদে আছরখতমে শেফা, বাদে মাগরিবমোরাকাবা ও জিকিরে গাউছুল আজম মোর্শেদী। উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (.) উপলক্ষে ২০৫৯টি খতমে কোরআন, ১৩৭টি তাহলিল, ৬২টি খতমে ইউনূচ ও ৫২ টি দরূদে সাইফুল্লাহ আদায় করা হয়। মিলাদ ও কিয়াম শেষে দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য এবং দরবারের প্রতিষ্ঠাতা গাউছুল আজম রাদ্বিয়াল্লাহু আন্‌হুর ফুয়ুজাত কামনা করে বিশেষ মুনাজাত করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাবাকে খুনের পর লাশ গুমের লোমহর্ষক বর্ণনা বড় ছেলের
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপির হাঁকডাক খালি কলসি বেশি বাজার মতো : তথ্যমন্ত্রী