ভোট পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র এলে আমরা খুশি : ইসি আলমগীর

| বুধবার , ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৭:২৫ পূর্বাহ্ণ

নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তো একটি সংস্থা। পৃথিবীতে তো আরও অনেক দেশ আছে। এসব দেশ থেকে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র এলে আমরা তো খুশি। গতকাল মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এমন মন্তব্য করেন। খবর বাংলানিউজের।

আপনার ভাষ্য অনুযায়ী ইইউ কোনো দেশ নয়। তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা যুক্তরাষ্ট্র যদি না আসে, তাহলে আপনাদের কোনো যায়আসে না, বিষয়টি এমন?- এই প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেন, এটা আমরা বলি না। ইইউ যে আসবে না, তাতো তারা বলেনি। তারা হয়তো বলেছে বড় পরিসরে বা ছোট পরিসরে। মিডিয়াতে আমরা যেটা দেখেছি সেটা হচ্ছে এখনও তিন মাস বা সাড়ে তিন মাসের মতো সময় আছে নির্বাচনের। অনেক লম্বা সময়। দুই নম্বর হলো যে, যুক্তরাষ্ট্র আসবে না সেটি তো বলেনি। যুক্তরাষ্ট্র এলে অবশ্যই আমরা তো খুশি। আমরা তো কাউকে নিষেধ করিনি। আমরা বলেছি আমাদের যে নীতিমালা, আমাদের যে আহ্বান, আমরা তো বলেছি সবাই আসেন। যে সমস্ত যোগ্যতার প্রয়োজন, যে সমস্ত শর্ত আছে, সেগুলো পূরণ করলে সবাই আসতে পারবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো একটি সংস্থা। পৃথিবীতে তো আরও অনেক দেশ আছে। ইউরোপে অনেক দেশ আছে, এশিয়া বা অস্ট্রেলিয়ায় অনেক দেশ আছে, সার্কভুক্ত দেশে আছে। এসব দেশ থেকে আসতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বলেছে পূর্ণাঙ্গ না, ছোট পরিসরে আসতে পারে। পরবর্তীতে হয়তো তারা মনেও করতে পারে বড় পরিসরে আসব। এটি তো চূড়ান্ত কোনো কথা না।

সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষক নীতিমালা অনুযায়ী, যেকোনো দেশের যেকোনো সংস্থা আমাদের আবেদন করতে পারে। তারা আমাদের কাছে আবেদন করলে এবং আমরা অনুমোদন দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিলে তারা চলে আসে।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ফেমবোসা (সার্কভুক্ত দেশের নির্বাচন কমিশনের সমন্বয়ে গঠিত সংস্থা) সদস্যদের দেশ বিশেষ করে আমাদের আশপাশের যেসব দেশ আছে তাদের আমরা ইনভাইট করি। আমরা শীঘ্রই তাদেরকে ইনভাইট জানাব। সার্কভুক্ত দেশগুলো (আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলংকা) আমন্ত্রণ জানানো বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। শীঘ্রই তাদেরকে আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকলে ভালো হয়। আমরা চাই দেশি বিদেশি বেশি সংখ্যক পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করুক। আমরা আশা করি, বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসবেন।

সম্প্রতি ইইউ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ পর্যবেক্ষক টিম পাঠাবে না। সিইসি চিঠির জবাবে ইইউকে আশ্বাস দিয়েছে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন। একইসঙ্গে এজন্য প্রয়োজনীয় সব সহায়তা সরকারের কাছ থেকে আদায় করেন নেবেন। সরকারও ইতোপূর্বে চাহিদা মোতাবেক সব সহায়তা দিয়েছে। এছাড়া বারবার সহায়তা দেওয়ার অঙ্গীকার করছে। সিইসি তার চিঠিতে সংসদ নির্বাচনে কমিশনের প্রচেষ্টাকে সমর্থন ও সহায়তা করার জন্য ইইউএর প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ অনুযায়ী, আগামী নভেম্বরের প্রথমার্ধে তফসিল দিয়ে ডিসেম্বর শেষ অথবা জানুয়ারি প্রথম সপ্তাহে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমোহরার উন্নয়নে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে শত কোটি টাকার প্রকল্প.
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশকে সহজে হারিয়ে সিরিজ জিতল কিউইরা