চট্টগ্রাম জেলায় এবার ২ হাজার ৪৫৮ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজার আয়োজন করা হবে। এর মধ্যে নগরে থাকবে ২৯৩টি ও ১৫ উপজেলায় ২ হাজার ১৬৫টি মণ্ডপ। গতকাল সকাল ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য, উৎসবমুখর ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা সম্পন্ন করা হবে।
এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী ১৪ অক্টোবর শুভ মহালয়া ও ২০–২৪ অক্টোবর দুর্গাপূজার শ্রীশ্রী মহা ষষ্ঠি থেকে শ্রীশ্রী বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে। সার্বজনীন দুর্গাপূজাকে ঘিরে ফেসবুকসহ অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে কেউ যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়ে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আইন–শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে। প্রত্যেক পূজা মন্ডপে প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত উপহার সামগ্রী যথাসময়ে পৌঁছে দেয়া হবে। সনাতন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বৃহৎ ধর্মীয় এই উৎসবে কোন বিশেষ গোষ্ঠী বা মহল কর্তৃক ধর্মীয় সম্প্রীতিতে আঘাত করলে তা সহ্য করা হবে না। সকলের মাঝে ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় থাকবে এটা আমাদের প্রত্যাশা।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাকিব হাসানের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা এনএসআই’র যুগ্ম পরিচালক মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম, মহানগর এনএসআই’র যুগ্ম পরিচালক মো. আবু আব্দুল্লাহ, সিএমপির অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. জাহাঙ্গীর, আনসার–ভিডিপি’র জেলা কমান্ড্যান্ট এএইচএম সাইফুল্লাহ হাবিব, র্যাব’র ডিএডি মো. খালিদুর রহমান, সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বিপ্লব দাশ, জেলা কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সভাপতি শ্যামল কুমার পালিত, মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য, সাধারণ সম্পাদক হিল্লোল সেন উজ্জ্বল, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক সুগ্রীব মজুমদার দোলন, উত্তর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি নটু প্রসাদ ঘোষ, দক্ষিণ জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সন্তোষ রঞ্জন দাশগুপ্ত, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার ও মহানগর, জেলা ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।