শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেককে স্মরণ

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করা হয়েছে দীর্ঘ প্রায় ৬৪ বছর ধরে চট্টগ্রামের মুখপত্র হিসেবে স্বীকৃত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সংবাদপত্র দৈনিক আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক আলহাজ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারকে। এই অঞ্চলের প্রথম মুসলিম ইঞ্জিনিয়ার আলহাজ আবদুল খালেকের ৬১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে অকৃত্রিম শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসায় স্মরণ করা হয়। চট্টগ্রামের কৃতী পুরুষ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল সোমবার বাদ আছর দৈনিক আজাদী মিলনায়তনে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। কামনা করা হয় আত্মার মাগফেরাত। মাহফিল পরিচালনা করেন মধ্যম হালিশহরের তৈয়বিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, আলাহযরত ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদের খতিব আলহাজ মাওলানা মোহাম্মদ বদিউল আলম রিজভী। মাহফিল পূর্ব আলোচনায় বলা হয়, চট্টগ্রামের প্রতি মমত্বই আলহাজ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারকে ভিন্ন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। তিনি শুধু পার্থিব জীবনেই সম্মানিত হননি, পরকালেও নিশ্চয় সম্মানে রয়েছেন। মানুষের প্রতি ভালোবাসাই আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারকে ইহ এবং পরকালে সম্মানিত করেছেন, করবেন।

আলহাজ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারকে চট্টগ্রামের মানুষের নবজাগরণের অগ্রদূত হিসেবে আখ্যায়িত করে বলা হয় যে, তিনি শুধু পত্রিকা প্রকাশই করেননি, এ অঞ্চলকে এগিয়ে নিতে আলোকিত করতে জীবনভর নিরন্তর চেষ্টা করেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠিত দৈনিক আজাদী এ অঞ্চলের মাটি ও মানুষের মুখপত্র হিসেবে স্বীকৃত হওয়ার পেছনে সৃষ্টিকর্তার বিশেষ রহমত রয়েছে বলে উল্লেখ করে আলহাজ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারকে জাতীয় ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের এক ভাস্বর মিনার বলেও আখ্যায়িত করা হয়। এই সময় বলা হয় যে, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়াসহ বহু প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার সাথে সরাসরি জড়িত ছিলেন। জামেয়ার মতো প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠার কার্যক্রমই শুরু হয়েছিল কোহিনুর প্রেসের দোতলা থেকে। বর্তমানে জামেয়াতে ৮ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করে। আলহাজ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারের হাতে গড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হাজার বছর ধরে সমাজে আলো বিলিয়ে যাবে বলে উল্ল্লেখ করে বলা হয় যে, আলহাজ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারের আদর্শ বাস্তবায়নে অতীতের মতো সামনের দিনগুলোতেও দৈনিক আজাদী একাগ্র থাকবে।

মিলাদ পূর্ব আলোচনায় আলহাজ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ারকে আল্লাহর ‘রহমতপ্রাপ্ত মানুষ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয় জীবনাচারে তিনি অত্যন্ত ধার্মিক ছিলেন, কিন্তু ধর্মান্ধ কিংবা সাম্প্রদায়িক ছিলেন না। ইসলামের প্রকৃত জ্ঞানে জ্ঞানী হয়ে তিনি ইসলামের শিক্ষায় এবং আলোতে নিজের জীবন সাজিয়েছিলেন। যে জীবন অনুসরণ করলে যে কোনো মানুষের জীবনই আলোকিত হবে বলে মন্তব্য করে বলা হয়, ইঞ্জিনিয়ার সাহেব জীবনভর এই আলোই বিলানোর চেষ্টা করেছেন। যে চেষ্টারই ধারাবাহিকতায় তিনি প্রকাশ করেছিলেন সাপ্তাহিক কোহিনুর, দৈনিক আজাদী এবং প্রতিষ্ঠা করেছিলেন কোহিনুর ইলেক্ট্রিক প্রেস এবং কোহিনুর লাইব্রেরি। তার হাতে গড়া প্রতিষ্ঠানগুলো আজও সমাজে আলো ছড়াচ্ছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।

মাহফিলে বিভিন্ন স্তরের বিপুল সংখ্যক মানুষ অংশগ্রহণ করেন। মিলাদ মাহফিল শেষে বিশেষ মোনাজাতে আলহাজ আবদুল খালেক ইঞ্জিনিয়ার, সাবেক সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদসহ দৈনিক আজাদীর মরহুম কর্মকর্তা কর্মচারীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং দেশ ও জাতির সুখ সমৃদ্ধি কল্যাণ কামনা করা হয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধছেলেকে ‘আর্লি’ স্কুলে নিয়ে যেতে এসএমএস পেয়েছিলেন মিতু
পরবর্তী নিবন্ধভুয়া বরাদ্দ আদেশ দেখিয়ে প্লট নিবন্ধন, চারজনের ১৫ বছর করে কারাদণ্ড