হাটহাজারীতে মো. রুবেল (৩১) নামের আলোচিত ধর্ষণ মামলার এক পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব–৭ এর একটি আভিযানিক দল। গত শনিবার দুপুরের ওই আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানায় র্যাব। এর আগে শুক্রবার র্যাব পৌরসভার মাটিয়া মসজিদ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার রুবেল নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার উত্তর কুলগাঁও এলাকার মৃত সোলেমানের পুত্র। সূত্রে জানা যায়, প্রায় আট বছর আগে একটি অনুষ্ঠানে হাটহাজারী উপজেলার বাসিন্দা ভিকটিমের সঙ্গে রুবেলের পরিচয় হয় এবং পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে বেড়াতে গিয়ে তারা ছবি তোলে। পরে রুবেল ওই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার হুমকি এবং বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ভিকটিমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। এরপর রুবেল ভিকটিমকে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে হলফনামা অনুযায়ী বিয়ে করে স্বামী–স্ত্রী হিসেবে একসঙ্গে বসবাস করে ও ২০১৯ সালের ১৮ জানুয়ারি তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। এদিকে সন্তানের বয়স প্রায় চার বছর পূর্ণ হলে চলতি বছরের ১২ আগস্ট ভিকটিম পুত্র সন্তানকে স্কুলে ভর্তির জন্য স্বামী রুবেলকে তার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি দিতে বলে। এসময় রুবেল তাদের বিয়ের কথা অস্বীকার করে ভিকটিমকে মারধর করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে বাসা থেকে পালিয়ে যায়। ওইদিনের পর থেকে অভিযুক্ত রুবেল ভিকটিমসহ শিশু পুত্রের কোনো খোঁজ খবর না নেওয়ায় গত ১৪ আগস্ট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল চট্টগ্রাম বরাবর ভিকটিম একটি কোর্ট পিটিশন দায়ের করে। আদালত তা আমলে নিয়ে হাটহাজারী মডেল থানা পুলিশকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশনা প্রদান করলে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পায়। পরে ভিকটিম হাটহাজারী মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করেন।
এদিকে মামলা দায়েরের খবর পেয়ে আসামি রুবেল গ্রেপ্তার এড়াতে গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে র্যাব–৭ তাকে ধরার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় পৌরসভার মাটিয়া মসজিদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে পলাতক আসামি রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাকে হাটহাজারী মডেল থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুজ্জান জানান, শনিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।