সেন্টমার্টিন দ্বীপের চারদিকে ওয়াকওয়ে নির্মাণের কথা ভাবছে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। কমিটির ৪১তম বৈঠকে এ পরিকল্পনার কথা জানানো হয়। গত ১৭ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আশেক উল্লাহ রফিক, সৈয়দা রুবিনা আক্তার, কানিজ ফাতেমা আহমেদ অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে পর্যটনবান্ধব দ্বীপ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে রাস্তাঘাট সংস্কার ও সমপ্রসারণসহ পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতা ও আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা, টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে অবস্থিত জেটি দুটি অতি দ্রুত সংস্কার ও নতুন জেটি নির্মাণ এবং সেন্টমার্টিন দ্বীপের চারিদিকে ওয়াকওয়ে নির্মাণ বিষয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে সমপ্রতি সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে এখানে। ওই সময় প্রাণ ভয়ে কয়েকশত দ্বীপবাসী সেন্টমার্টিন ছেড়ে টেকনাফ সরে আসেন। কিন্তু চরম অনিশ্চিয়তা ও আতংকের মধ্যে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করেছে ৮ হাজারের উপর লোকজন। এর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিলেও জলোচ্ছ্বাস আতংকে ভুগছেন তারা। তখনই দ্বীপের চারিপাশে টেকসই বাঁধ নির্মাণের দাবিটি সামনে আসে। এমনিতেই দ্বীপবাসী সেন্টমার্টিন রক্ষার জন্য এই দাবিসহ পরিবেশ বান্ধব মাস্টার প্ল্যান তৈরির দাবি জানিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন। ১৭ সেপ্টেম্বর সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর সেন্টমার্টিনের চারদিকে ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করার উদ্যোগ নেওয়াকে স্বাগত জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, এই ধরনের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে সরকার। এমন খবরে এলাকাবাসী দ্বীপ ও জনগণ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করছেন তাতে আনন্দিত। দ্রুত সেন্টমার্টিনের চারদিকে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করারও দাবি জানান তিনি।
টেকনাফ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম বলেন, সেন্টমার্টিন বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ। এই দ্বীপকে ঘিরে দেশ বিদেশের পর্যটকদের আলাদা নজর রয়েছে। তাই এটি রক্ষা করতে সরকারি উদ্যোগ বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকলে এগিয়ে আসতে হবে।