মনোয়ার– ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেন– যাঁর কথা ভাবলেই মনে ভেসে ওঠে মানুষের দাবি আদায়ের মিছিলকে পথ দেখানো এক প্রজ্বলন্ত মশালের কথা। স্থানীয় তথা জাতীয় দাবিদাওয়া আদায়ে যত আন্দোলন–সংগ্রাম, মিটিং– মিছিল চট্টগ্রামে হয়েছে, সেগুলোর অগ্রভাগে সবসময় দেখা গেছে মনোয়ারের মুখ। পরে তাঁর কর্মপরিধি বিস্তৃত হয়েছে যুক্তরাজ্য হয়ে আন্তর্জাতিক পরিধিতে।
খ্যাতিমান আইনজীবী, দেশে–বিদেশে সুপরিচিত সমাজসেবক, প্রাক্তন জনপ্রিয় ছাত্রনেতা, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠক ও বৃহত্তর চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনের রূপকার ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের বর্ণাঢ্য বহুমুখী জীবন ও কর্মকাণ্ড নিয়ে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রের নেতৃস্থানীয় বা প্রতিনিধি–স্থানীয়দের লেখার একটি বাংলা–ইংরেজি দ্বিভাষিক সম্মাননা গ্রন্থ ‘অদম্য এক মনোয়ার হোসেন (অহ ওহফড়সরঃধনষব গড়হধিৎ ঐড়ংংধরহ)’ নামে প্রকাশিত হয়েছিল ২০২২–এর এপ্রিলে, শাহরিয়ার খালেদের সম্পাদনায় চট্টগ্রামের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘খড়িমাটি’ থেকে। ঠিক এক বছর পরে, ২০২৩–এর এপ্রিলে একই সম্পাদকের সম্পাদনায় একই প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় দুই গুণ বর্ধিত কলেবরে প্রকাশিত হয়েছে সঙ্কলনটির দ্বিতীয় সংস্করণ।
বইটির প্রথম সংস্করণে লেখক তালিকায় ছিলেন চট্টগ্রামের শিল্প–সাহিত্য, রাজনীতি, শিক্ষা, সাংবাদিকতা, সমাজসেবা প্রভৃতি প্রতিটি ক্ষেত্রের বহু অগ্রগণ্য ব্যক্তিত্ব।
দ্বিতীয় সংস্করণটিতে প্রথম সংস্করণের লেখাগুলো ছাড়াও যোগ করা হয়েছে মনোয়ার হোসেনের গত প্রায় তিন দশকব্যাপী ব্যাপক সামাজিক–রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর বিভিন্ন পত্রপত্রিকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন, তাঁর আইনি পরিষেবা সম্পর্কে কিছু গুগল পর্যালোচনা ও মন্তব্য, তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী, তাঁর রচিত গান ‘চট্টগ্রাম’, তাঁকে নিয়ে কণ্ঠশিল্পী সন্দীপন ও রন্টির গান, সামাজিক মাধ্যমে তাঁর একটা সাক্ষাৎকার, চট্টগ্রামের উন্নয়ন ও অন্যান্য বিষয়ে পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত তাঁর প্রবন্ধ–নিবন্ধ, পেশাগতভাবে তিনি যেসব চ্যালেঞ্জের মোকাবেলা করেছেন সেগুলোর কথা, তাঁকে নিয়ে কিছু ফেসবুক স্ট্যাটাস ও মন্তব্য, তাঁর কর্মকাণ্ড সম্পর্কিত পত্রপত্রিকা আর লিফলেটের কোলাজ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন আন্দোলনে তাঁর নেতৃত্বদানের খবরাখবর ও ছবি, তাঁর বাবা ডা. এস. এম. নূরুল হুদা’র জীবন, কর্ম ও দর্শনের ওপর আলোকপাত ইত্যাদি। ব্যাপক এই সংযোজনের ফলে মাত্র শ’খানেক পৃষ্ঠার প্রথম সংস্করণটি ৪১৮ পৃষ্ঠার এক বৃহদায়তন গ্রন্থ হয়ে দাঁড়িয়েছে এবং বইটির গুরুত্বও বহুগুণ বেড়ে গেছে। সেদিক থেকে বিচার করলে, ‘অদম্য এক মনোয়ার হোসেন’–এর দ্বিতীয় সংস্করণটিকে একই নামের দ্বিতীয় একটা বইও বলা যায়।
যেহেতু মনোয়ার হোসেন নামের একই ব্যাক্তিমানুষকে ঘিরে এ–বইয়ের সমস্ত লেখা ও অন্যান্য ভুক্তি আবর্তিত হয়েছে, তাই অবধারিতভাবে কিছু পুনরাবৃত্তির সৃষ্টি হয়েছে। তবে সকলেই একবাক্যে স্বীকার করেছেন মনোয়ারের নিঃস্বার্থ, পরহিতব্রতী, জনকল্যাণকর উন্নয়ন ও প্রগতিমুখী চরিত্র, এবং সর্বোপরি তাঁর বহুপরীক্ষিত নেতৃত্বের গুণাবলীর কথা। মনোয়ার হোসেনের হীরকখণ্ডের মতো দেদীপ্যপান ও বহুতলযুক্ত চরিত্রের বিভিন্ন দিক এসব লেখায় পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে।
বইয়ে বিশিষ্ট জনদের দেয়া লেখাগুলোর বেশ কয়েকটি ২০০৯ ও পরবর্তীতে ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের ওপর নির্মিত তথ্যচিত্রে তাঁদের মন্তব্য। এঁদের মধ্যে রয়েছেন মনোয়ারের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শিক্ষক, বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রামে তাঁর সহগামী নেতা। সংক্ষিপ্ত অথচ সারগর্ভ মন্তব্যগুলোতেও তাঁরা সকলেই মনোয়ারের রাজনীতি সচেতনতা ও নেতৃত্ব, মনোমুগ্ধকর বাগ্মীতার সপ্রশংস স্মৃতিচারণ করেছেন।
রাজনীতি অনেকেই করেন বা নেতা অনেকেই হন। আজকের দিনে রাজনীতি যখন মূলত ব্যক্তিস্বার্থ আর দলীয় স্বার্থমুখী, তখনও কিন্তু বইটিতে অন্তর্ভুক্ত প্রত্যেকের লেখায় মনোয়ার হোসেনের রাজনীতির জনমুখিতার কথা ব্যক্ত হয়েছে দ্ব্যর্থহীন ভাষায়। সকলেই লিখেছেন, ব্যক্তিস্বার্থের তো প্রশ্নই ওঠে না, দলীয় স্বার্থও কোনোদিন মনোয়ার হোসেনের রাজনীতির মূল লক্ষ্য হয়ে উঠতে পারে নি। দলীয়ভাবে তিনি আকৈশোর সম্পৃক্ত ছিলেন প্রগতিবাদী রাজনীতির সঙ্গে। তৎকালীন শক্তিশালী সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের নেতৃত্ব দিয়েছেন স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও নগর স্তরে। একসময় চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সে আমলের পরিশীলিত চেতনা, বোধবুদ্ধি ও শিক্ষাদীক্ষার ছাত্র–ছাত্রীরা সবাই এই ছাত্র সংগঠনটির সঙ্গেই যুক্ত হতো। বাম প্রগতিশীল পার্টিগুলি কখনোই রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল না বা ক্ষমতার রাজনীতি খুব একটা জোর দিয়ে করেছে তাও মনে হয় না। তবুও ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সংগঠনগুলো ছিল প্রতিক্রিয়াশীল, ধর্মান্ধ, জঙ্গিবাদী রাজনৈতিক দলগুলোর অন্যতম প্রধান টার্গেট। অন্যদিকে দলমত নির্বিশেষে ক্ষমতাসীন সরকারগুলোও ছিল বামদের ওপর বিরূপ বা শত্রুভাবাপন্ন। এই চরম কণ্টকময় প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে, বলতে গেলে প্রাণ হাতে করে এবং জেল–জুলুম সহ্য করে অনেকে যাঁরা সে–সময় এদেশে গণমুখী সুস্থ রাজনীতির ধারা অক্ষুণ্ন রেখেছেন, স্বৈরাচারী শাসন–শোষণ ও চরমপন্থী ডান মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে আন্দোলন–সংগ্রাম, প্রতিবাদ–প্রতিরোধের ধারা অব্যাহত রেখেছেন, মনোয়ার হোসেন ছিলেন তাঁদের একেবারে অগ্রসারিতে। তাঁর শিক্ষাগুরুদের, এবং বিশেষ করে তাঁর সতীর্থ, সহগামী কবি–কথাশিল্পী আবু মুসা চৌধুরী, কবি–সাংবাদিক ওমর কায়সার, কবি–সাংবাদিক নাজিমুদ্দিন শ্যামল এবং আরো কয়েকজনের লেখায় বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে।
এসব লেখার মধ্যে আমার সবচেয়ে আন্তরিক আবেগমণ্ডিত আর সাহিত্যরসসমৃদ্ধ মনে হয়েছে কবি আবু মুসার ‘আমার বন্ধু মনোয়ার’ শীর্ষক ছোট্ট সুন্দর লেখাটি। মুসার পুরো লেখাটা তুলে ধরার লোভ সামলানো মুশকিল। কিন্তু সেটা সম্ভব নয় বলেই কিছু কিছু উদ্ধৃত করা গেল। তৎকালীন ছাত্রনেতা মনোয়ার হোসেনের বর্ণনা দিতে গিয়ে আবু মুসা লিখেছেন:
“মনোয়ারের প্রচণ্ড সম্মোহক ব্যক্তিত্ব। ক্ষুরের মতো ধারালো গেসচার পসচার। উজ্জ্বল ফর্সা, সুন্দর, সুবেশী, স্মার্ট। বিপ্লবের স্বপ্নে পার্টির প্রতি নিবেদিত। দক্ষ সংগঠক, এবং বাগ্মিতায় মোহিত করার অনায়াস ক্ষমতা, সুস্নিগ্ধ–পরিশীলিত আকর্ষক ব্যক্তিত্বের কারণে আমি ওর ভক্ত, অনুরাগী, ফ্যান হয়ে পড়লাম, আমার ‘নেতা’ হিসেবে গ্রহণ করলাম।”
তখনকার রাজনৈতিক পরিবেশ–পরিস্থিতির বর্ণনা দিতে গিয়ে মুসা লিখেছেন:
“তখন উত্তাল সময়। চট্টগ্রামের কলেজগুলো দখল করে আছে জামায়াত–শিবির। দেশ জুড়ে জিয়ার অপশাসন। জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি উন্মুক্ত। গোলাম আজমকে দেওয়া হয়েছে নাগরিকত্ব। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিবিরের পোক্ত ঘাঁটি। এমত কারনেমি–কালেই আমাদের অশোকদা, মানে অশোক সাহাকে মেরে চট্টগ্রাম কলেজের সামনে রাজপথে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এমন বাস্তবতায় প্রগতিশীল রাজনীতি করা মানে ‘জন্ম–মৃত্যু পায়ের ভৃত্য’ এই সত্য মেনে নেওয়া।
“তখন ছিল কালবেলা। দুঃসময়। দুষ্কালের দিবানিশি। ”
স্কুল–কলেজে খিল
রাজপথে মিছিল
কিনু গোয়ালার গলি
হিরের টুকরো ছেলেরা
সব অশ্বমেধের বলি।
…
ওরে মন,
পৃথিবীর গভীর গভীরতর
অসুখ এখন।
“কিন্তু আমার বন্ধু মনোয়ারের কাছে জেল–জুলুম–হুলিয়া–দমন–পীড়ন–নির্যাতন সব ছিল তুচ্ছ। রাজপথের এই লড়াকু সৈনিক সমাজ বদলানোর পবিত্র মন্ত্র বুকে ধারণ করে এই ষোলশহরের প্রতিটি অলি–গলি–তস্য গলিচষে বেড়াচ্ছেন।”
মনোয়ার হোসেন এক পর্যায়ে সামাজিক আন্দোলনে জড়িয়ে পড়লেন গভীরভাবে। সে সময় সম্পর্কে আবু মুসা চৌধুরী লিখেছেন:
“আমার বন্ধু মনোয়ার ছাত্র–রাজনীতির পর্যায় পেরিয়ে শুরু করলেন সামাজিক আন্দোলন। বর্ষাকালে শহরের নিচু অঞ্চল থাকতো পানির নিচে। কী যে অসহনীয় অবর্ণনীয় কষ্ট মানুষের। মনোয়ার, সাবেক সাংসদ এম. কফিলউদ্দিন এবং আমাদের আরেক বন্ধু সুগায়ক শাহরিয়ার খালেদের সহযোগে যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন, তার সুফল আমরা চট্টগ্রামবাসী এখন ভোগ করছি। এজন্যে এই চেরাগ নগরীর জনগণের কৃতজ্ঞতার অন্ত নেই মনোয়ার হোসেনের প্রতি।”
এই একই কথাগুলো আরো বিস্তারিকভাবে, সাল–তারিখের অনুপুঙ্খ উল্লেখসহ সাংবাদিক এম. নাসিরুল হক, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, হেলালউদ্দিন চৌধুরী, অঞ্জন কুমার সেন, ওমর কায়সার, জসিমউদ্দিন সবুজ, নাজিমুদ্দিন শ্যামল, হাসান আকবর, কবি–প্রাবন্ধিক রুনু বিলকিস, সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস, ডা. নাহিদা খানম প্রমুখ অনেকেই লিখেছেন। তবুও আমি শুধু আবু মুসা চৌধুরীকে উদ্ধৃত করলাম বক্তব্যের সংক্ষিপ্ত প্রাঞ্জলতার জন্যে।
মনোয়ার হোসেনের যুক্তরাজ্য গমন, ব্যারিস্টারি পাস করা এবং লন্ডনে প্র্যাকটিসরত একজন সফল আইনজীবী হিসেবে তাঁর জীবন ও জনকল্যাণমুখী কর্মকাণ্ড, বিপন্ন অভিবাসী বা অভিবাসন–প্রত্যাশী বাংলাদেশিদের আইনি পরিষেবা প্রদানে ও মানবাধিকার কর্মী হিসেবে তাঁর অতন্দ্র ভূমিকা ইত্যাদি প্রসঙ্গ বিস্তারিতভাবে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যে কর্মরত বাংলাদেশি সাংবাদিক হামিদ মোহাম্মদ, যুক্তরাজ্যে বৃহত্তর চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সভাপতি এম. ইসহাক চৌধুরী প্রমুখের লেখায়। তাঁর পারিবারিক জীবন, যা তাঁর সামাজিক–রাজনৈতিক জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন কিছু নয়, তার নানা হৃদয়গ্রাহী ছবি পাওয়া যায় তাঁর স্ত্রী, শিক্ষিকা ও সমাজকর্মী আফরোজা লীনা, পুত্র জাওয়াদ হোসেন ও ভাই সৈয়দ মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলামের লেখায় এবং তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবনী ও তাঁর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষানুরাগী– সমাজসেবী ডা. এস এম নুরুল হুদার জীবন, কর্ম ও দর্শনের ওপর আলোকপাতকারী লেখাটা থেকে।
মনোয়ার হোসেনের সুবিস্তৃত কর্মকাণ্ডের পরিচয় পেতে এ গ্রন্থে যেসব পেপার কাটিং, পোস্টার ইত্যাদির ছবি, ঘটনার আলোকচিত্র, তাঁর দেয়া আইনি পরিষেবার প্রকার ও পরিধি নিয়ে গুগল পর্যালোচনা আর মন্তব্য যোগ করা হয়েছে, সেগুলোও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনের সুদীর্ঘ কালের সুহৃদ, সংগ্রামী সহচর শাহরিয়ার খালেদের সুসম্পাদনায় প্রকাশিত সুবৃহৎ এই সম্মাননা গ্রন্থটি থেকে আমরা এক প্রকৃত সম্মানযোগ্য অনন্য ব্যক্তিত্বের পরিচয় পাই, যাঁর আযৌবন– আজীবনের ধ্যানজ্ঞান মানুষ শুধু মানুষ, যিনি সত্যিকার অর্থে পরার্থপর, যাঁর রাজনীতি, পেশা, সমাজসেবা সব জনকল্যাণে নিয়োজিত, এবং যিনি সর্ব অর্থে একজন পরিচ্ছন্ন মানুষ, যাঁর মতো মানুষের নেতৃত্ব ও দিগদর্শন এ মুহূর্তে আমাদের খুব দরকার। এ গ্রন্থে অন্তর্ভুক্ত লেখকদের অনেকে তাঁকে তাঁর প্রিয় চট্টগ্রাম মহানগরীর মেয়র পদে দেখতে চেয়েছেন, অনেকে তাঁকে চেয়েছেন সংসদ সদস্য হিসেবে। অনেকের ইচ্ছে, তিনি যেন একজর মন্ত্রী হিসেবে জনসেবার সুযোগ পান আরো বৃহত্তর পরিসরে।
সবশেষে বলতে হয়, ব্যারিস্টার মনোয়ার হোসেনকে নিয়ে এমন একটা সঙ্কলন গ্রন্থের খুবই প্রয়োজন ছিল। এ গ্রন্থে শুধু একজন ব্যক্তিমানুষের নয়, একটা গোটা শহরের বা অঞ্চলের বা দেশের ইতিহাসের অনেকটা বিধৃত হয়েছে। কারণ যাঁকে নিয়ে এ গ্রন্থ, তিনি একজন বিচ্ছিন্ন ব্যক্তিমাত্র নন, তিনি সমষ্টির এক অপরিহার্য অংশ।