চট্টগ্রাম অঞ্চলের মাটি ও মানুষের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি শিক্ষা এবং সংস্কৃতির বিকাশের লক্ষ্যে ২৫ বছর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৬ সালের ১৯ ডিসেম্বর দেড় ঘণ্টার অনুষ্ঠান সম্প্রচারের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ টেলিভিশন চট্টগ্রাম কেন্দ্র। চট্টগ্রাম অঞ্চলের মাটি ও মানুষের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি শিক্ষা ও সংস্কৃতির বিকাশের ঘোষণা দিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্র।
নানা সংকটের মধ্যেও ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রাম কেন্দ্র থেকে শুরু হয় ৬ ঘণ্টার স্যাটেলাইট সমপ্রচার কার্যক্রম। ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু হয় ৯ ঘণ্টার সমপ্রচার। ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয় ১২ ঘণ্টা অনুষ্ঠান সমপ্রচার। ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান বহির্বিশ্বেও সমপ্রচার শুরু হয়। প্রায় ত্রিশ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪৩৮ ফুট বা ১৩৩ দশমিক ৫ মিটার উঁচু চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্রের টাওয়ার নির্মাণ সম্পন্ন করা হয়। এই টাওয়ার দিয়ে ১২টি ক্যাবল চ্যানেল ও দুটি টেরিস্ট্রিয়াল চ্যানেল চালানো যায়। টাওয়ারের পাশেই স্থাপন করা হয়েছে ট্রান্সমিশন। এই ট্রান্সমিশন দিয়ে বিটিভি, বিটিভি ওয়ার্ল্ড, সংসদ টিভি ও চট্টগ্রাম টেলিভিশন কেন্দ্র সম্প্রচার করা হচ্ছে। এর ফলে চট্টগ্রামের মত সারাদেশেও বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান টেরিস্ট্রিয়াল হিসেবে দেখা যাচ্ছে। ২০২১ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ১৮ ঘণ্টা এবং ১৯ ডিসেম্বর থেকে ২৪ ঘণ্টা সমপ্রচারে গেছে এ কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টা সমপ্রচারের সূচনা করেন।
আমরা প্রতিদিন নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে চট্টগ্রামের রাজনীতি–অর্থনীতি, শিল্প–সংস্কৃতি, ইতিহাস–ঐতিহ্যের চিত্র প্রত্যক্ষ করি। এ সব অঙ্গনের প্রিয় মুখগুলোকে দেখে প্রাণিত হই। সেই ধারাবাহিকতা আগামীতেও চাই। আমরা চাই, চট্টগ্রামের এমন কোনো বিশিষ্ট জন থাকবে না, যাঁকে এই কেন্দ্রের কোনো না কোনো অনুষ্ঠানে পাবো না।
এ কেন্দ্রে জেনারেল ম্যানেজার হিসেবে গত ১২ জানুয়ারি যোগ দিয়েছেন নূর আনোয়ার হোসেন রনজু। যোগদানের পূর্বে তিনি বিটিভির কন্ট্রোলার/ প্রোগ্রাম ম্যানেজার (পিএম–১) (বিভাগীয় প্রধান, অনুষ্ঠান বিভাগ, ঢাকা কেন্দ্র) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি যোগদান করার পর এই কেন্দ্রের আমূল পরিবর্তন লক্ষ্যণীয়। চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি বলেছিলেন, আমি এখানে শুধু সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আসিনি। আমি এর আগে দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত ছিলাম। আমি যতদিন বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবো, ততদিন এই কেন্দ্রের উন্নয়নে চেষ্টা চালিয়ে যাবো। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ টেলিভিশনের সমান্তরাল একটি কেন্দ্র হিসেবে চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান সারাদেশের পাশাপাশি সারাবিশ্বে সমপ্রচার হয়। অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আমরা চট্টগ্রামের শিল্প–সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দেওয়ার চেষ্টা করছি। শুধু বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান নয়, এই কেন্দ্র থেকে সংবাদ এবং সংবাদভিত্তিক আলোচনাও সমপ্রচার হয়। ২৪ ঘণ্টার সমপ্রচারেও আমরা চট্টগ্রামের শিল্প–সংস্কৃতিকে প্রাধান্য দিয়ে দর্শকদের মন জয় করার মতো মানসম্মত অনুষ্ঠান সমপ্রচার করতে চাই।
আসলে এই টিভি কেন্দ্রের উন্নয়নে তাঁর পরিকল্পনা ও আন্তরিকতা উল্লেখ করার দাবি রাখে। আমরা জেনে আনন্দিত যে বেশ কিছু কার্যক্রম ইতোমধ্যে জেনারেল ম্যানেজার জনাব নূর আনোয়ার হোসেন রনজু গ্রহণ করেছেন, যা কেন্দ্রকে সমৃদ্ধ করবে নিঃসন্দেহে। যেমন :
বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে ব্রান্ডিং করা: একটি আধুনিক টিভির অন্যতম দিক হচ্ছে টিভি চ্যানেলটিকে ব্রান্ডিং করা। এই টিভিতে লোগো, টেলপ, সুপার, আইডি, শিরোনাম, ইনসিগনা, প্রমো কার্ড, লাইভ কার্ড ইত্যাদি লাল, সাদা, কালো, হলুদ, নীলসহ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কালারে ব্যবহার করা হচ্ছিল। কিন্তু এই বছরের শুরু থেকেই পর্যায়ক্রমে সবকিছু ২টি কালারে রূপান্তর করা হচ্ছে। টিভি কর্তৃপক্ষ আশা করছেন অক্টোবর মাসের মধ্যে লোগো, ইনসিগনা এবং স্টেশন আইডিসহ সবকিছু নতুন আঙ্গিকে পরিবর্তন করা সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠান শাখা: সাম্প্রতিক সময়ে যুগোপযোগী নতুন নতুন কনটেন্টের মাধ্যমে নান্দনিক অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার করা হচ্ছে। আমরা দেখেছি, অনেক অনুষ্ঠানের সেট–লাইট আধুনিক ও ব্যাকগ্রাউন্ড যুগোপযোগী করা হয়েছে। কিছু কাজ এখনো বাকি, যেগুলো প্রক্রিয়াধীন। জেনে আনন্দিত যে, শিল্পী ও কলাকুশলীর বৈষম্য দূরীকরণে প্রায় সকল শিল্পীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, সর্বশেষ দুই ঈদে ঢাকার বাইরে একমাত্র রাষ্ট্রীয় চ্যানেল হিসেবে দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে বিটিভি চট্টগ্রাম। নিয়মিত অনুষ্ঠান ছাড়াও গত ঈদ–উল ফিতরে ৬৬৭ জন এবং ঈদ–উল আযহায় ৬৫১ জন শিল্পীর অংশগ্রহণে নান্দনিক নির্মিত অনুষ্ঠান প্রচার করা হয়েছে। নিয়মিত এবং বিশেষ অনুষ্ঠানেও একদিকে যেমন সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হচ্ছে, তেমনি গুণগত মানও নজর কেড়েছে সবার মনে। ফলে কেন্দ্রটি এখন শুধু চট্টগ্রামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। দেশের সুপরিচিত ও গুণী শিল্পীদের অংশগ্রহণে যা আগের চেয়ে অনেক বেশি দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে।
সমপ্রতি দু’টি স্টুডিওকে সংস্কার করে আধুনিক রূপ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ভার্চুয়াল স্টুডিও স্থাপনের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। তাছাড়া এখন অনুষ্ঠান নির্মাণ করা হচ্ছে আধুনিক সেট, লাইট ও ব্যাকগ্রাউন্ডের মাধ্যমে। সেই সাথে আধুনিক স্টুডিও স্থাপনের জন্য ১০ তলা ভবনের নির্মাণ কাজও দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। প্রশংসার আরেকটি দিক হলো, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রে এখন আর আগের মতো শুধু নির্দিষ্ট শিল্পীদের দিয়ে অনুষ্ঠান তৈরি করা হয় না। সুযোগ দেয়া হচ্ছে নতুন নতুন প্রতিভাবান শিল্পীদেরও। ফলে চট্টগ্রামের শিল্পীদের প্রতিভা বিকাশের ক্ষেত্রে একটি সহায়ক প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়েছে এই চ্যানেলটি। অন্যদিকে স্টেকহোল্ডারদের মতামতের উপর অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচারের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার করা হচ্ছে। এছাড়াও দেশব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান ‘নবস্পন্দন’ খুব শীঘ্রই শুরু করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিটিভি–চট্টগ্রামের জিএম।
বার্তা শাখা: ইতোমধ্যে বার্তার গুণগত মান বৃদ্ধি করা হয়েছে, বাণিজ্যিক সংবাদ এবং সংবাদ বিরতিতে বিজ্ঞাপন প্রচার শুরু করা হয়েছে। প্রতিদিন অন্তত একটি প্রতিবেদন সংযোজন করা হয়েছে। উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের প্রচার ও তালিকা প্রস্তুতসহ সার্বিক কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করা হয়েছে। অন্যদিকে তাৎক্ষণিক সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচারের জন্য একটি আধুনিক ব্যাকপ্যাক ক্রয়ের জন্য ইতোমধ্যে টেন্ডার করা হয়েছে। সমপ্রতি রিপোর্টিং এর সুবিধার্থে একটি পৃথক অডিও বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন: বিটিভি, চট্টগ্রাম কেন্দ্র ২৪ ঘন্টা সমপ্রচারের একটি গণমাধ্যম। কিন্তু বিজ্ঞাপনের তেমন কোন আয় ছিলো না। এমনকি বিজ্ঞাপন নামে কোন বিভাগের কার্যক্রমও ছিল না, কিন্তু গত জানুয়ারি থেকে বিজ্ঞাপন আয় বৃদ্ধির জন্য ফিল্ড ভিজিট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে আন্তঃসংযোগ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে এখন নিয়মিতভাবে বিজ্ঞাপন দাতাগণ বিজ্ঞাপন প্রদানে আগ্রহী হতে পারেন।
উন্নয়নমূলক প্রজেক্ট: বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রকে পূর্ণাঙ্গ টিভি কেন্দ্রে রূপান্তরের অংশ হিসেবে নতুন ও আধুনিক স্টুডিও নির্মাণের জন্য ১০ তলা ভবন নির্মাণ কার্যক্রম দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে দ্বিতীয় তলার ছাদ ঢালাইয়ের লক্ষে বীম ও কলামের কাজ চলমান রয়েছে। এই স্টুডিও নির্মাণে দর্শকদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী আইটিভিত্তিক অটোমেটেড পদ্ধতি সন্নিবেশ করে অনুষ্ঠান নির্মাণ করা হবে। একই সাথে চট্টগ্রামের স্বতন্ত্র সংস্কৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং অর্থনৈতিক সম্ভাবনা প্রচারের পাশাপাশি প্রধান বন্দর নগরীর ব্যবসায়িক সুযোগসমূহ দর্শকদের অবহিত করা সম্ভব হবে।
আর্কাইভ সার্ভার স্থাপন : চট্টগ্রাম কেন্দ্রে প্রচারিত অনুষ্ঠান কিংবা গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্টিং সংরক্ষণের জন্য কোন আর্কাইভ ছিলো না। এমনকি কখন কোন অনুষ্ঠান প্রচার হচ্ছে তার কোন মনিটরিংও নেই। সুতরাং ভালো ও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান এবং রিপোর্টিং সংরক্ষণের জন্য সমপ্রতি একটি আর্কাইভ সার্ভার স্থাপন করা হয়েছে। যা সবার দাবি ছিল।
ভার্চুয়াল স্টুডিও এবং আধুনিক সেট নির্মাণ: সময়ের দাবী ভার্চুয়াল স্টুডিও। এটি নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছ। এর ফলে অনুষ্ঠানের মান আরো বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।
প্রকৌশল যন্ত্রপাতি স্থাপন : চট্টগ্রাম কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তেমন কোন নতুন যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন করা হয়নি। বর্তমানে এ কেন্দ্র থেকে টেরিস্ট্রিয়াল ও স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ২৪ ঘন্টা সমপ্রচার কার্যক্রম অব্যাহত আছে। তাই টেরিস্ট্রিয়াল ও স্যাটেলাইট সমপ্রচার কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন ও স্বাভাবিক রাখার স্বার্থে যন্ত্রপাতি আধুনিকায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া আধুনিক ও মানসম্মত অনুষ্ঠান এবং সংবাদচিত্র ধারণের জন্য নতুন ক্যামেরা ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এতে অনুষ্ঠান ও সংবাদের গুনগত মান অনেক বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া সম্মানিত দর্শকদের স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন অনুষ্ঠান দেখার সুবিধার্থে ইতোমধ্যে ঊহপড়ফবৎ ও ফবপড়ফবৎ স্থাপন করা হয়েছে।
সোস্যাল মিডিয়া: ইতোপূর্বে সোস্যাল মিডিয়া স্থবির ছিলো। বর্তমানে সোস্যাল মিডিয়া উইং– এর মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান, সংবাদ ক্লিপিং, টিভি স্পট এবং প্রমোশনাল বিটিভি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেইজে নিয়মিত আপলোড করা হচ্ছে। এতে দর্শকগণ সহজে বিটিভি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের অনুষ্ঠান দেখার সুযোগ পাচ্ছে।
প্রশিক্ষণ: সীমিত জনবল দিয়েও চ্যানেলটিকে দক্ষতার সঙ্গে পরিচালনার জন্য কর্মকর্তা/কর্মচারীদের নিয়মিতভাবে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়াও কর্মশালা, সভা, সেমিনার ও ইন–হাউজ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অভিযোগ প্রতিকার : বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের শিল্পীদের অভিযোগ গ্রহণ ও নিষ্পত্তিকরণের জন্য ০৩(তিন) সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিল্পীদের নিকট থেকে প্রাপ্ত অভিযোগগুলো কমিটি কর্তৃক ০৭ কর্মদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করছে।
ইএফটিএন–এর মাধ্যমে শিল্পী সম্মানী পরিশোধ : বাংলাদেশ টেলিভিশন, চট্টগ্রাম কেন্দ্রে বর্তমানে ক্রস চেকের মাধ্যমে শিল্পীদের সম্মানী পরিশোধ করা হয়। এতে করে শিল্পীদেরকে তাঁদের প্রাপ্য সম্মানী পরিশোধে অনেক সময় বিলম্ব হয় এবং ডাকযোগে প্রেরিত চেক যথাসময়ে শিল্পীদের নিকট পৌঁছায় না। প্রেক্ষিতে শিল্পীদের সুযোগ সুবিধার কথা বিবেচনায় সম্মানী দ্রুততর ও তাৎক্ষণিক পরিশোধের নিমিত্ত ইএফটিএন–এর মাধ্যমে পরিশোধের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তবে উপসংহারে এটুকু বলা যায়, বিটিভি, চট্টগ্রাম কেন্দ্রের ভালো কাজে কখনো প্রশংসাতো জোটেই নি, বরং নিন্দা করেই এর কণ্ঠ রুদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালানো হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। কেন্দ্রটি কিছুদিন ভালো চলে, আবার ফিরে যায় পুরনো দায়সারা মনোভাবে। আমরা চাই চট্টগ্রাম কেন্দ্রটি নিজের পায়ে দাঁড়াক। আঞ্চলিক জীবপ্রকৃতি, সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সাহিত্য, ভাষাগত বৈচিত্র্য নিয়মিতই তুলে ধরুক বিটিভির চট্টগ্রাম কেন্দ্র। অনেক পরিশ্রম, আন্দোলন আর সংগ্রামের ফসল আমাদের বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র। এ কেন্দ্র আমাদের শক্তি। এই কেন্দ্র চট্টগ্রামের মানুষের জন্য বড় সম্পদ, বড় প্রাপ্তি।
লেখক : সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, দৈনিক আজাদী