তোমার নখে বিষ ছিল, চোখের মনিতে ছিল রাক্ষসীর খণ্ডিত দাঁত!
আমি জলের বাড়িতে বুকের মাঝে ঝিনুকের মতো
মুক্তো নিয়ে কতকাল ডুবে ছিলাম, তা জানলো না কোনো কাগজের ইতিহাস।
মুক্তোর ভারে আমি নিমজ্জিত পাথরে জীবন ঠুকে ঠুকে
রক্তের স্রোত উজানে জোয়ারে সন্ন্যাসী হয়েছি
বয়স না জানা প্রাচীন বটবৃক্ষ তলে বসে বাঁশরি বাজিয়েছি প্রেমতলাতে।
তুমি তার খোঁজ রাখোনি, কাছে ডাকোনি,
মনের দুয়ারে বন্ধনহীন কপাটে খিল দিয়েছো ইস্পাতের আলোকে।
তুমি কোন জীবনে পদার্পণ করেছো?
কেমন করে কোদালের বুকে –পিঠে দুদিকে কাট অবিরাম?
আমিতো জং খেতে খেতে মুক্তা ফলায়,
জলের নিঃশ্বাস বুকে ভরে বেঁচে থাকি। তুমি যদি ডাকো, তাই।
তুমি দুর্দান্ত নিষ্ঠুরতা নিয়ে বুকের ঘরবাড়ি সব ফালি ফালি করে কাটো;
মুক্তো নিয়ে ফিরে যাও আদিম গুহায়।
একটি মুক্তো একজীবনের সমস্ত ক্ষরণ দিয়ে বেড়ে উঠে বুকের গভীরে।
কষ্টের পাথুরি নাম মুক্তো। একজীবন বিসর্জনের অপর নাম মুক্তো।
অথচ কী দারুণ অবলীলায় সব লণ্ডভণ্ড করে,
কেটে– কুটে কত সহজে তুমি ডাকাতি করে নাও
আমার ভালোবাসার মুক্তো দানা।
তুমি মুক্তো চিনলে কেবল, ক্ষত বিক্ষত ঝিনুক চিনলে না।