দুই চালানে ২ কোটি ১০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা

ক্যালসিয়াম কার্বনেট ঘোষণায় এলো গুঁড়োদুধ ও ডেক্সট্রোজ পলি নিটেড ঘোষণায় স্যুটিং ও প্যান্টিং ফেব্রিক্স

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৪:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ঢাকার পুরানা পল্টনের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জি ওয়াই ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেড ক্যালসিয়াম কার্বোনেট ঘোষণা দিয়ে নিয়ে এসেছে গুঁড়োদুধ ও ডেক্সট্রোজ। গত মঙ্গলবার শতভাগ কায়িক পরীক্ষায় জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির মাধ্যমে আমদানিকারক এক কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে। অপরদিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নাজমুল হোসিয়ারি প্রাইভেট লিমিটেড বন্ড সুবিধার অপব্যবহার এক কন্টেইনার স্যুটিং ও প্যান্টিং ফেব্রিকস আমদানি করে। মিথ্যা ঘোষণায় পণ্য আমদানির মাধ্যমে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে আমদানিকারক। গতকাল চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিচার্স (এআইআর) শাখার উপকমিশনার মো. সাইফুল হক ঘটনার পৃথক দুটি বিবৃতিতে জালিয়াতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিবৃতিতে জানানো হয়, জি ওয়াই ট্রেড প্রাইভেট লিমিটেড চীন থেকে ৩ হাজার ২১৯ বস্তা ক্যালশিয়াম কার্বোনেট (আনকোটেড) আনার ঘোষণা দিয়ে চার কন্টেনার পণ্য আমদানি করে। এসব পণ্য খালাসের দায়িত্ব ছিল চট্টগ্রামের আসাদগঞ্জের সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান এক্সটেনডেড ইউনাইটেড এজেন্সিস লিমিটেডের। প্রতিষ্ঠানটি পণ্য খালাসের জন্য গত ১১ সেপ্টেম্বর কাস্টমসের এসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। কিন্তু কাস্টমসের এআইআর শাখা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় চালানটি মিথ্যা ঘোষণায় আমদানি করা হয় বলে জানতে পেরে ১৮ সেপ্টেম্বর চালানটি এসাইকুডা সিস্টেমে লক করে দেয়। গত মঙ্গলবার কন্টেনার চারটি শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে কাস্টমসের এআইআর শাখা। কায়িক পরীক্ষায় ক্যালশিয়াম কার্বোনেট লেখা একই সাইজ ও একই প্রিন্টের বস্তায় ২৮০০ বস্তায় প্রায় ২৮ হাজার কেজি গুঁড়াদুধ এবং ৪০ হাজার কেজি ডেক্সট্রোজ পাওয়া যায়।

অপর এক বিবৃতিতে জানানো হয়, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার নাজমুল হোসিয়ারি প্রাইভেট লিমিটেড এক কন্টেনার শতভাগ পলি নিটেড ফেব্রিকস আমদানির ঘোষণা দেয়। বন্ড সুবিধার আওতায় (শুল্কমুক্ত) নির্ধারিত ওয়্যারহাউজের জন্য কাপড়গুলো আমদানির করার কথা ছিল। চালানটির ঘোষিত মূল্য ছিল ১২ হাজার ২৮০ মার্কিন ডলার। চালানটি খালাসের জন্য গত ১৩ সেপ্টেম্বর বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে চট্টগ্রামের হালিশহর এলাকার সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আহসান এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু মিথ্যা ঘোষণা স্যুটিং ও প্যান্টিং আমদানির বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা পাওয়ায় অ্যাসাকুইডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে চালানটি লক করে দেওয়া হয়। এরপর ১৯ সেপ্টেম্বর চালানটির শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখা। এতে প্রায় ২৮ টন স্যুটিং ও প্যান্টিং ফেব্রিকস পাওয়া যায়। অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠান বন্ড সুবিধায় পণ্য আমদানি করে খোলা বাজারে বিক্রির চেষ্টা করছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। চালানটি আমদানির মাধ্যমে ১ কোটি ১০ লাখ রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে আমদানিকারক। রাজস্ব ফাঁকির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (এআইআর) মো. সাইফুল হক জানান, ক্যালসিয়াম কার্বনেট ঘোষণায় গুঁড়োদুধ ও ডেক্সট্রোজ আমদানির মাধ্যমে আমদানিকারক ১ কোটি টাকার মতো রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে। এছাড়া চালানটি আমদানির মাধ্যমে ১ কোটি ১০ লাখ রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছে আমদানিকারক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধঅস্ত্র হাতের ছবিতে তোলপাড় যা বললেন ছাত্রলীগ নেতা