সামনে নিশ্চিত মৃত্যু, পিছনে দেয়াল। এমন অবস্থায় প্রচণ্ড নির্বোধ যে… সেও বাঁচার শেষ চেষ্টা করে। মৃত্যুকে মেনে নিয়েই সে তার সবটুকু শক্তি দিয়ে মৃত্যুকেই আক্রমণ করে বসে। কখনো কখনো এমন হয়, ভয় পেয়ে মৃত্যু পালিয়ে যায়। বিধাতা মুচকি হাসেন। নিজের সৃষ্টি নিয়ে নিজেরই গর্ব হয় তাঁর। মৃত্যুকে ফিরিয়ে দেবার এই ঘটনাকে আমরা অনেকেই মিরাকল বলি। আসলে মিরাকল বলে কিছু নাই (ধর্মীয় ব্যাখ্যা এখানে প্রযোজ্য নয়। এখানে আমি মানুষের সক্ষমতাকে ফোকাস করেছি)। মানুষ যখন বুঝতে পারে মৃত্যু নিশ্চিত, তখন সে বাঁচার জন্য করতে পারে না এমন কোন কাজ এই পৃথিবীতে নেই। ঠিক এমনিভাবেই জীবনে কাঙ্ক্ষিত জিনিসটা পাবার জন্য, প্রত্যাশিত গন্তব্যে পৌঁছার জন্য নিজের মধ্যে জয়ী হবার সংকল্পটাকে ধারণ করতে হয়। কখনো কখনো সাফল্যের জন্য এই আকুলতা, এই উন্মাদনা, এই একরোখা বেপরোয়া ভাব, জিতে ফিরবার এই গোঁয়ার্তমি… বড় বেশ কাজে আসে। তারচেয়ে ও বড় কথা হচ্ছে… আমরা বড় স্বপ্ন দেখতে ভয় পাই। আমি কি পারবো! হেরে গেলে মানুষ কী বলবে? এই ভয়টাই আমাদেরকে বড় স্বপ্ন দেখতে বাঁধা দেয়। আমি বুঝতে পারি না বড় স্বপ্ন দেখতে সমস্যা কোথায়! স্বপ্নেই যখন খেলেন, তাহলে পোলাও কোর্মা খান। কল্পনায় পৃথিবীর সবচেয়ে দামী রেস্টুরেন্টে বসে দুনিয়ার সবচেয়ে দামী খাবারটা খান। শাখ–তরকারী কেন খাবেন?
বিল দেবার ভয় নাই, কোলেস্টেরলের ভয় নাই। যত পারেন মিষ্টি মধুর স্বপ্ন দেখুন। ডায়াবেটিস হবেনা। বড় স্বপ্ন দেখুন। আপনার বড় স্বপ্নের উপর টেঙ বসানোর ক্ষমতা দুনিয়ার কোন সরকারের নাই, এটা নিশ্চিত। মনে রাখবেন… মানুষ তার স্বপ্নের চেয়েও অনেক বড়। একসময়ের গুহাবাসী এই মানুষগুলোই কালের বিবর্তনে নিজেকে আজ সভ্যতার সবচেয়ে মর্ডান ভার্সনে এনে দাঁড় করিয়েছে। সুতরাং মানুষের পক্ষে যে কোন কিছুই করা সম্ভব। যে কোনও কিছু।