চা বোর্ডেরা ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরের সদরঘাট থানা এলাকায় দুটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার কর্ণফুলী চা ঘর ও হক টি হাউজ নামে দুটি প্রতিষ্ঠানে নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির প্রমাণ মেলে। চা বোর্ড জানায়, অভিযানে কর্ণফুলী চা ঘরে সরকারি চা বোর্ডের লোগো ব্যবহার, প্যাকেটে উৎপাদনের অগ্রিম তারিখ লেখার মতো গুরুতর অপরাধের প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব অভিযোগে আগামী রোববার প্রতিষ্ঠানটির মালিককে চা বোর্ডে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একই ভাবে হক টি হাউজ নামক প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, চা বোর্ডের ব্লেন্ডার লাইসেন্স, চা কেনার কাগজপত্র, বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স–কিছুই নেই তাদের। প্যাকেটে বসানো হয়নি প্যাকেজিং, মেয়াদের তারিখও। তবুও তাদের দাবি ‘সময়ের সেরা’ হক চা!
অভিযান পরিচালনাকারী বাংলাদেশ চা বোর্ডের উপ–সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. রুহুল আমীন বলেন, কর্ণফুলী চা ঘরে অভিযান চালিয়ে চা বোর্ডের ব্লেন্ডার লাইসেন্স, চা ক্রয়ের যথাযথ ডকুমেন্ট কিছুই পাইনি। উল্টো তারা প্যাকেটের গায়ে চা বোর্ডের লোগো ও উৎপাদনের অগ্রিম তারিখ ব্যবহার করছিল। এ প্রতিষ্ঠানের গুদাম থেকে ৩০ বস্তা লেবেলবিহীন চা পাতা এবং ৫২টি প্যাকেজিং রোল জব্দ করেছি। পাশাপাশি চা বোর্ডের ব্লেন্ডার লাইসেন্স এবং বিএসটিআই লাইসেন্স ছাড়াই ‘হক টি’ নামে ব্র্যান্ডে মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ ব্যবহার না করেই চা প্যাকেট করে বিক্রি করছিল হক টি হাউজ। প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।