ভবনের নকশা অনুমোদনের জন্য ব্যাংকের জমা স্লিপে সিল–স্বাক্ষর জালিয়াতির মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে গতকাল বুধবার সিডিএ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক।
দুপুরের দিকে চট্টগ্রাম দুদকের ১০ সদস্যের একটি টিম নিয়ে এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম দুদকের উপ–পরিচালক নাজমুস সাদাত। এসময় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি বেশ কিছু নথিও পর্যালোচনা করেন দুদক কর্মকর্তারা। প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার কথা উল্লেখ করে বেশ কিছু রেকর্ডপত্র জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদক চট্টগ্রামের একজন কর্মকর্তা জানান, নগরীতে ভবন নির্মাণে অনুমোদন নেয়ার ক্ষেত্রে ব্যাংকের সিল স্বাক্ষর জালিয়াতি করে টাকা আত্মসাৎ করে নকশা অনুমোদন করা হচ্ছে এমন একটি অভিযোগের তদন্ত করতে সিডিএতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। দুদক জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম–১ হতে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রধান প্রকৌশলী এবং সচিবের সাথে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলে। এসময় প্রয়োজনীয় বেশ কিছু রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়। পরবর্তীতে সিডিএ ভবনস্থ পূবালী ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথেও জালিয়াতির বিষয় নিয়ে কথা বলা হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টাব্যাপী অভিযানকালে অভিযোগের প্রাথমিক সতত্যা পাওয়া যায়। পরবর্তীতে রেকর্ডপত্র প্রাপ্তি সাপেক্ষে বিশ্লেষণপূর্বক বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে সিডিএ’র চিফ ইঞ্জিনিয়ার কাজী হাসান বিন শামস গতকাল দৈনিক আজাদীকে বলেন, ব্যাংকে টাকা জমা না দিয়ে ব্যাংকের সিল স্বাক্ষর জাল করার একটি অভিযোগ তদন্তে দুদকের একটি টিম এসেছিল। আমাদের কাছ থেকে কিছু রেকর্ডপত্র চাওয়া হয়েছে। আমরা কিছু রেকর্ডপত্র দিয়েছি। বাকিগুলোও পরে সরবরাহ করব।