ইলিশ কাচ্চি আমড়ার জুস রসগোল্লায় আপ্যায়ন

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ঢাকায়, লাল গালিচা সংবর্ধনা

আজাদী ডেস্ক | সোমবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ঢাকায় এসেছেন। তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার রাত ৮টা ১০ মিনিটে নয়াদিল্লি থেকে তাকে বহনকারী প্লেনটি ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে তোপধ্বনির মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয়। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানান।

বিমানবন্দরেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টকে গার্ড অব অনার এবং লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয় সশস্ত্র বাহিনীর একটি দল। এ সময় উভয় দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট গার্ড পরিদর্শন করেন। খবর বাংলানিউজের।

গত রাতে প্রধানমন্ত্রী আয়োজিত নৈশভোজে যোগ দেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট। আজ সোমবার ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন ম্যাক্রোঁ। একই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ঢাকা সফরকালে তিনটি চুক্তি ও সমঝোতা সইয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এগুলো হলো বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট২ উৎক্ষেপণ, এয়ার বাস ক্রয় ও স্থানীয় সরকার প্রকল্পে অর্থায়নে সহযোগিতা।

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট দিল্লিতে জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেন। সম্মেলনে শেষে তিনি বাংলাদেশে আসেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জি২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আসার কয়েক ঘণ্টা আগেই তিনি ঢাকায় ফেরেন।

উল্লেখ্য, তিন দশক পর ফ্রান্সের কোনো প্রেসিডেন্ট ঢাকা সফরে এলেন। ১৯৯০ সালে ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরা ঢাকা সফর করেছিলেন।

ইলিশ কাচ্চি আমড়ার জুসে আপ্যায়ন : ইলিশ মাছ, কাচ্চি বিরিয়ানি, আমড়ার জুস, রসগোল্লা ও পিঠাসহ নানা আয়োজনে ঢাকায় সফররত ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে আপ্যায়ন করা হয়েছে। গতকাল রাতে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সম্মানে এ রাষ্ট্রীয় ভোজ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই আয়োজনে অ্যাপিটাইজার হিসেবে ছিল পেঁয়াজু, সমুচার সঙ্গে স্মোকড ইলিশ, স্যুপ, ব্রেড অ্যান্ড বাটার। মেইন কোর্সে ছিল খাসির মাংসের কাচ্চি বিরিয়ানি, গরুর মাংসের শিক কাবাব, চিকেন কোরমা, রোস্টেড লবস্টার, টক অবার্গিন, ট্র্যাডিশনাল লুচি ব্রেড।

ডেজার্ট হিসেবে ছিল পাটিসাপটা পিঠা, মিষ্টি দই, রসগোল্লা ও বিভিন্ন ধরনের ফল। বেভারেজ হিসেবে ছিল তাজা ফলের জুস, আমড়ার জুস, চা, কফি ও কোমল পানীয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহোটেল-রেস্তোরাঁয় কোটি কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকি
পরবর্তী নিবন্ধযুবলীগ কর্মীর ছুরিকাঘাতে আওয়ামী লীগ নেতা খুন