সাত সকালে গরম চায়ের কাপের সাথে যদি তরতাজা খবর নিয়ে পত্রিকা না–ই থাকে, সকালটাই মাটি! একটা সময় যখন, ঢাকার কিংবা জাতীয় পত্রিকা আসত দুপুর গড়িয়ে, পাঠকের সেই তাৎক্ষণিক চাহিদা পূরণে আজাদী ছিল এক কথায় অতুলনীয়। শৈশবের দিনগুলিতে বিশ্বকে জানতে প্রভাতীর বার্তা হাতের মুঠোয় তুলে দিয়েছে প্রিয় দৈনিক আজাদী। চাটগাঁবাসীর অতি সাধারণ জনগণের হৃদয়ে গড়েছে ভালোবাসা ও আত্মিক সম্পর্ক। গৌরবোজ্জ্বল সেই দিনটির সাক্ষী হলো আজাদী। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের আনন্দে উৎফুল্ল পত্রিকার সাংবাদিক–কর্মচারীরা পত্রিকার অফিসে ছুটে এসে পত্রিকার বের করার উৎসাহ প্রকাশ করলে আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক সানন্দে সম্মতি দেন। শুরু হয় যুগান্তকারী ইতিহাস রচনা। স্বাধীন বাংলার আকাশের প্রথম প্রভাতে ১৭ই ডিসেম্বর পুরো বাংলাদেশে প্রকাশিত হয় প্রথম দৈনিক ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ হেডিং নিয়ে। সময় দ্রুত এগিয়ে গেলেও বিশ্বায়নে সাথে হাত মিলিয়ে এক অনন্ত যৌবনা, ইতিহাস সৃষ্টিকারী একটি ঐতিহ্যমণ্ডিত ঐতিহাসিক দৈনিক হলো আজাদী। নিজ জেলা শহরের সমস্যা, দুর্ভোগ, উৎসব, আনন্দ বেদনার বিষয়বস্তুকে সঠিক মর্যাদা দিয়ে জাতীয় ও বিশ্ব দরবারকে তুলে ধরে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রদান করেছে নিপুণ ভাবে।
প্রবীণ ও নবীন লেখকদের মধ্যে যোগসূত্র ও চমৎকার মেলবন্ধন সৃষ্টি করেছে আজাদী। যার কারণে আজাদী নিঃসন্দেহে সর্ব পঠিত ও জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা। সত্যি কথা বলতে, চট্টগ্রামের এক নম্বর কাগজ দৈনিক আজাদী। যেই পত্রিকায় লেখা ছাপলে সবচেয়ে বেশি খুশি হই। নতুন লেখক সৃষ্টিতে যার জুড়ি মেলা ভার।
আজাদী অর্ধ শতাব্দীর চেয়ে বেশি সময় পাড় করে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে শতাব্দীর দোর গোড়ায়। সম্পাদক এম,এ মালেকের সংস্পর্শে আজাদী পত্রিকা পেয়েছে নতুন দিগন্তের ছোঁয়া। সঠিক দিকনির্দেশনা সমাজের পরিবর্তনের উদার নীতি ন্যায় প্রতিষ্ঠায় যুদ্ধ করে ৬৪ বছর দীর্ঘ সময় সুনাম ও গৌরবের সাথে অতিক্রম করার সৌভাগ্য হয়েছে। প্রচুর জ্ঞানী গুণী মানুষকে সম্পৃক্ত করার প্রচেষ্টায় সামাজিক উন্নয়নে জোরালো ভূমিকা পালন করেছে। নতুন প্রজন্মের জন্যে ইতিহাস ঐতিহ্য জ্ঞান বিজ্ঞান চর্চার সুযোগ সৃষ্টি করে চলছে। এই নগরীর স্বার্থও অধিকার বাস্তবায়নে কাজ করেছে গণ জাগরণ ও সচেতনা সৃষ্টি করে বিশেষ কৃতিত্ব অর্জন করেছে। আজাদী সাধারণ জনগণের মনে এক গভীর মমতা ও আবেগের সাথে মিশে থাকবে মহাকাল।