চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার জিমনেসিয়ামটি চট্টগ্রামের ইনডোর গেমসের একমাত্র ভরসা। পাশাপাশি যেকোন রাষ্ট্রীয় কাজেও এই জিমনেসিয়ামটি ব্যবহার করা হয়। বিশেষ করে নির্বাচনকালীন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ হিসেবে এই জিমনেসিয়াম ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তবে নির্বাচন চলে যাওয়ার পরও দীর্ঘ দিন নির্বাচন কমিশনের সরঞ্জাম সমুহ রেখে দেওয়ায় বন্ধ থাকে জিমনেসিয়ামটি। ফলে ইনডোরের অনেক গুলো গেমসের অনুশীলন এবং খেলা আয়োজন করা সম্ভব হয়না। এখণ যেমন বড় সমস্যার মুখে পড়েছে চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থা। আর কিছুদিন পরই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপ। আর সে জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপের গত দুইবারের চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম। কিন্তু জিমনেসিয়াম বন্ধ থাকায় অনুীশলন করতে পারছেনা চট্টগ্রাম জেলা দলের খেলোয়াড়রা। ফলে জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ গ্রহন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম জেলা দলের। শুধু তাই নয় সিজেকেএস ব্যাডমিন্টন কমিটির অফিস কক্ষটি জিমনেসিয়ামে হওয়ায় সেটিও খোলা যাচ্ছেনা। ফলে বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সাথেও ঠিকমত যোগাযোগ করা যাচ্ছেনা। প্রেরণ করা যাচ্ছেনা চিটি পত্র।
গত ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রাম ৮ আসনের উপ নির্বাচন। এরপর কেটে গেছে এক মাসেরও বেশি সময়। কিন্তু জিমনেসিয়াম থেকে নির্বাচন কমিশনের সরঞ্জামসমূহ নিয়ে যাওয়া হয়নি। চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আ.জ.ম. নাছির উদ্দিন জানিয়েছেন তিনি সরাসরি নির্বাচন কমিশনারের সাথে কথা বলেছেন। তারা তাকে একটি চিঠি দেওয়ার পরামর্শ দেন। তারই প্রেক্ষিতে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, চট্টগ্রাম বরাবর গত ১৭ আগস্ট চিঠিও প্রদান করা হয়। কিন্তু তারপরও নেওয়া হয়নি সরঞ্জামগুলো আর এতে সবচাইতে কঠিন সমস্যার মুখে পড়েছে ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়রা। যারা কিনা আর কয়দিন পরেই জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নিতে যাচ্ছে। তাদের অনুশীলন হচ্ছে না। সিজেকেএস ব্যাডমিন্টন কমিটির সম্পাদক দিদারুল আলম জানান অফিসটা খুলতে না পারার কারণে আমরা জরুরি কার্যক্রমগুলোও পরিচালনা করতে পারছি না। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার চিঠিটা আমরা পেয়ে সেটা নির্বাচন কমিশনে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সরঞ্জাম গুলো সরিয়ে ফেলার একটি কথা রয়েছে। তবে এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেন। নির্বাচন কমিশন সচিব আগামী শনিবার চট্টগ্রামে আসছেন। তিনি বলেন আমরা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সমস্যার বিষয়টা অনুধাবন করতে পারছি। তিনি বলেন আসলে নির্বাচন কমিশনের এই সরঞ্জামগুলো রাখার জন্য জিমনেসিয়ামের চাইতে নিরাপদ জায়গা আমাদের কাছে আপাতত নেই।
চট্টগ্রাম– ৮ আসনের উপ নির্বাচনের আগে চট্টগ্রাম ১০ আসনের উপ নির্বাচনের সময়ও প্রায় দেড় মাসের মত বন্ধ ছিল এই জিমনেসিয়াম। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে খেলোয়াড়রা। যারা কিনা জাতীয় পর্যায়ে চট্টগ্রামের প্রতিনিধিত্ব করবে। সবচাইতে বড় কথা হচ্ছে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন চট্টগ্রাম জেলা দল অনিশ্চয়তার মধ্যেই পড়েছে জাতীয় ব্যাডমিন্টন চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ গ্রহণের ব্যাপারে। কারন অনুশীলন ছাড়াতো আর জাতীয় পর্যায়ে দল পাঠানো যায় না।