অপহরণের দুদিন পর শিশুটিকে রেখে গেল ষোলশহরে

আজাদী প্রতিবেদন | বৃহস্পতিবার , ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৪:৪০ পূর্বাহ্ণ

তিন বছর ছয় মাস বয়সী মো. আব্দুল্লাহকে অক্ষত অবস্থায় পাওয়া গেছে। নগরীর ষোলশহরের দুই নম্বর গেটের পুলিশ বক্সের সামনে থেকে গতকাল সকালে পুলিশের একটি টিম তাকে উদ্ধার করে। সে তখন সেখানে ঘোরাঘুরি করছিল। বোরকা পরিহিত এক নারীর পিছু পিছু হেঁটে গিয়ে নিখোঁজ হওয়ার দুদিন পর শিশু আব্দুল্লাহকে খুঁজে পেয়ে খুশি তার বাবামা। চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, নিখোঁজ পরবর্তী শিশুকে খুঁজে পেতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করেছে। এ তৎপরতা বুঝতে পেরে এবং ভয় পেয়ে অপহরণকারী নিজেই শিশুটিকে ষোলশহর এলাকায় রেখে গেছে। এর আগে দুইদিন শিশুটিকে অজ্ঞাত স্থানে রাখা হয়। অভিযুক্ত বোরকা পরিহিত সেই নারী আমাদের কাছে এখনো অজ্ঞাত। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। সেই সাথে এ ঘটনায় আর কেউ জড়িত আছে কী না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

তিনি বলেন, পুলিশ বঙের সামনে থেকে ফোন পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে শিশু আব্দুল্লাহকে উদ্ধার করে। তার সাথে আর কেউ ছিল না। আমরা তাকে অক্ষত অবস্থায় হেফাজতে নিই এবং পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি। শিশু নিখোঁজের প্রসঙ্গ তুলে ওসি বলেন, তাকে খুঁজে পেতে বাড়ির আশেপাশে, চান্দগাঁও থানাধীন দোকান, মদুনাঘাট, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, বায়েজিদ বোস্তামী থানা ও পাঁচলাইশ থানাসহ সিসিটিভির ফুটেজ পর্যালোচনা করে ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়। নিখোঁজ পরবর্তী একাধিক অভিযান পরিচালনার একপর্যায়ে শিশুটি খোঁজ মিলেছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করতে পারলে বিস্তারিত জানা যাবে।

শিশু মো. আব্দুল্লাহ নগরীর চান্দগাঁও থানার মোহরা কুলাপাড়ার বাসিন্দা। তার বাবা মাহবুবুল আলম দুবাই দুবাই প্রসাসী। শিশু নিখোঁজের খবর পেয়ে গতকাল সকালে তিনি দেশে ফিরেন। এর চার ঘণ্টা পর শিশু আব্দুল্লাহকে খুঁজে পায় পুলিশ। মাহবুবুল আলম বলেন, শিশু নিখোঁজ হয়েছে এমন খবর পাওয়ার পর অস্থিরতা কাজ করছিল। কাজে মন বসছিল না। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে দেশে ফিরে আসি। আমার শিশুর সাথে কী হয়েছে, কারা তাকে অপহরণ করেছে কিছুই জানি না।

চান্দগাঁও থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গত ৪ সেপ্টেম্বর সকাল সোয়া ১০টার দিকে নিজ বাসার সামনে থেকে আব্দুল্লাহ অপহরণের শিকার হন। দুপুরে তার মা থানায় গিয়ে এ বিষয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে যাচাইবাছাইয়ের পর অভিযানে নামে পুলিশ। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, বাসার সামনের একটি মাঠে খেলছিল আব্দুল্লাহ। তখন বোরকা পরিহিত এক মহিলা এসে তাকে নিয়ে দ্রুততার সাথে একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকে উঠে যায়। আমরা ইজিবাইকটিকে শনাক্ত করে জানতে পারি, সেটি লোকাল ইজিবাইক হিসেবে মোহরা এলাকায় ভাড়ায় যাত্রী পরিবহন করে। চালক ও অন্যান্য যাত্রীরা ওই নারীকে গার্মেন্টস কর্মী এবং আব্দুল্লাহকে তার ছেলে ভেবেছিলেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপাকিস্তানের কাছে হার দিয়ে শুরু বাংলাদেশের
পরবর্তী নিবন্ধসীতাকুণ্ডে ঝরনায় ডুবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর মৃত্যু