পটিয়ায় ঘাস কাটার মেশিনে ডান হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এক শিশু শিক্ষার্থীর। মো. নাঈম উদ্দিন (১১) হাইদগাঁও ইউনিয়নের উত্তর হাইদগাঁও কাজী পাড়া গ্রামের টং চা দোকানদার মোহাম্মদ আনোয়ারের পুত্র ও হাইদগাঁও কাজী পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। গত সোমবার সন্ধ্যায় কৌতুহলী হয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ির গোয়াল ঘরে গরুর ঘাস কাটার মেশিন দেখতে গিয়ে তার ডান হাতের কবজিটি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ঘটনার পর পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করায়। বর্তমানে আহত এ শিশু শিক্ষার্থী ওই হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ডা. রিভুরাত চক্রবর্তীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত শিশু শিক্ষার্থীর পিতা মোহাম্মদ আনোয়ার জানান, আমার বাড়ির পাশের চাচাত ভাই সম্পর্কিত শফিউল আলমের গরুর খামারে একটি ঘাস কাটার মেশিন আনা হয়। উত্তরবঙ্গ থেকে এক রাখাল বিদ্যুৎ চালিত এ মেশিনটি নিয়ে আসেন। ঘটনার দিন ঘাস কাটার এক পর্যায়ে বিদ্যুৎ চলে যায়। এসময় ওই রাখাল অসাবধানবশত মেশিনের সুইচ অফ করতে ভুলে যায়। এক পর্যায়ে আমার ছেলে মেশিনের পাশে গিয়ে সেটি হাত দিয়ে ধরে দেখে। এসময় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে আসলে মুহূর্তেই মেশিনটি চালু হয়ে যায় ও ছেলের ডান হাতের কবজি সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা ছেলেকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, আমি সামান্য টং দোকানে চা–বিক্রি করি। আমার তেমন অর্থবিত্ত নেই। ছেলের চিকিৎসায় ৭ লক্ষাধিক টাকার প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ছেলের চিকিৎসায় আমার পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছে না। আমি আমার ছেলের হারানো হাত ফিরে পেতে তার চিকিৎসার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।