ভিসানীতি নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়ে লাভ নেই : প্রধানমন্ত্রী

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে যোগাযোগের নতুন মাইলফলক

আজাদী ডেস্ক | রবিবার , ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৫:৪৭ পূর্বাহ্ণ

আন্দোলন করে সরকার পতনের হুমকি, নিষেধাজ্ঞা, ভিসানীতির কথা উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এই মাটি আমাদের, এই সমস্ত ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। গতকাল শনিবার বিকালে রাজধানীর পুরাতন বাণিজ্যমেলা মাঠে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দক্ষিণে কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সুধী সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেকেই নাকি গণতন্ত্র চোখে দেখেন না। তারা নাকি গণতন্ত্র উদ্ধার করবেন। যাদের জন্মই হচ্ছে অগণতান্ত্রিকভাবে, সংবিধান লঙ্ঘন করে, উচ্চ আদালত যাদের ক্ষমতা দখল অবৈধ ঘোষণা করেছে, তারা কী গণতন্ত্র দেবে? তারা তো গণতন্ত্র দিতে জানে না। খবর বাংলানিউজের।

তিনি বলেন, তারপরও তারা আন্দোলনের নামে অনেক সময় অনেক কথা বলে। সেইখানে আমি আপনাদের একটা কথা বলব। মাঝে মাঝে জানি আন্দোলন সংগ্রাম দেখে অনেকে একটু ঘাবড়ে যান, তারপর আবার স্যাংশন আসে, ভিসা স্যাংশন ইত্যাদি ইত্যাদি। আমার স্পষ্ট কথা, এই মাটি আমাদের। আমরা দেশ স্বাধীন করেছি জাতির পিতার নেতৃত্বে। এই সমস্ত ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। বাংলাদেশের মানুষ জানে অধিকার আদায় করতে।

শেখ হাসিনা বলেন, আজকে যারা আন্দোলনের নামে রোজই ক্ষমতা থেকে আমাদের ফেলে দিচ্ছেন, আমি আপনাদের বলতে চাই, যারা এখানে উপস্থিত সকলকে বলব, কবির ভাষায় বলব, মেঘ দেখে করিস নে ভয়, আড়ালে তার সূর্য হাসে, হারা শশীর হারা হাসি, অন্ধকারেই ফিরে আসে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মেঘের ঘনঘটা আমরা দেখি, আবার তারপরে তো সূর্য ওঠে। কাজেই ওই ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই। ভয়কে জয় করে বাংলাদেশের জনগণ তার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাবে। তিনি বলেন, নৌকা সারা জীবন উজান ঠেলে ঠেলে এগিয়ে গেছে। ঝড়, ঝঞ্ঝা পাড়ি দিয়ে আজকে নৌকা তীরে ঠেকে জনগণের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, নৌকা মার্কা স্বাধীনতা দিয়েছে, নৌকা মার্কা অর্থনৈতিক উন্নতি দিয়েছে। নৌকা মার্কা ডিজিটাল বাংলাদেশ দিয়েছে। নৌকা মার্কাই আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ দেবে।

দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আত্মবিশ্বাস রেখে জনগণের কল্যাণে কাজ করলে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করা সম্ভব, আমরা তা প্রমাণ করেছি; যার জন্য রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দরকার।

তিনি বলেন, আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলে এখন আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পথে এগিয়ে যাচ্ছি। আজকে বাংলাদেশের উন্নয়ন কেন হয়েছে? একটাই কারণ; ২০০৯ সাল থেকে যে গণতন্ত্র এবং মানুষের ভোটের অধিকার আমরা নিশ্চিত করে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসে একটা গণতান্ত্রিক স্থিতিশীল পরিবেশ রাখতে পেরেছি, তার কারণেই আজকে বাংলাদেশের এই উন্নয়ন।

এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে রাজধানীবাসীর জন্য উপহার এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য নতুন মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের সুবিধার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ঢাকা শহরের যানজট নিরসনে ভূমিকা রাখবে, বিশেষ করে বিমানবন্দর, কুড়িল, মহাখালী, ফার্মগেট, মগবাজার, কমলাপুর এলাকায় যানজট নিরসন করবে। মানুষের কর্মঘণ্টা নষ্ট হবে না, দ্রুত উন্নতি হবে, কাজের সুযোগ তৈরি হবে। ঢাকাবাসীর আকাক্সক্ষা পূরণ হবে। আমরা যতটুকু করলাম, বাকিটুকু দ্রুত তৈরি হবে।

উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ওপর দিয়ে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাওলা প্রান্ত থেকে ফার্মগেট আসেন প্রধানমন্ত্রী। ১১ দশমিক ৫ কিলোমিটার পথ পার হতে প্রধানমন্ত্রীর সময় লেগেছে ১৪ মিনিট কয়েক সেকেন্ড।

পূর্ববর্তী নিবন্ধটোল দিয়ে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধজানুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচন : ইসি আনিছ