আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, বিএনপি ও জামায়াতকে যে বিশ্বাস করবে তিনি ভুল করবেন। বিএনপি জামায়াত একসূত্রে গাঁথা। তারা এক ও অভিন্ন। তাদেরকে বিশ্বাস করা যাবে না। বিএনপি–জামায়াত বিদেশি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসতে চায়। মেজর জিয়া হলো বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা। বঙ্গবন্ধুর খুনী ও তাদের দোসর মদতদাতারা কখনো চিন্তা করেনি আওয়ামী লীগ একদিন ক্ষমতায় যাবে, বঙ্গবন্ধু কন্যা একদিন প্রধানমন্ত্রী হবেন। তারা এখনো মরিয়া। শেখ হাসিনাকে ওরা একাধিকবার হত্যা করার ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর দেশকে উল্টোপথে নিয়ে যাওয়া হয়। বিভ্রান্তি, ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে দেশ ও দলের স্বার্থে আওয়ামী লীগ ঘুরে দাঁড়াতে জানে একথা প্রমাণ হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের কারণে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি গতকাল বুধবার জিইসি কনভেনশন সেন্টারে শোকের মাস আগস্ট জুড়ে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের গৃহীত কর্মসূচির অংশ হিসাবে শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, নমিনেশন যাকে দেয়া হোক, তাকে পছন্দ না করলেও কাজ করতে হবে। ভোট দিতে হবে। আমরা কোনো প্রার্থীর জন্য নয়, বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনার জন্য কাজ করবো। নৌকা জেতাতে নৌকার মাঝি ঠিক রাখতে হবে।
আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খান এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতির মুক্তির প্রশ্নে কোনো আপোষ করেননি। ক্ষমতা, অর্থের লোভ বা মৃত্যুর ভয় কোনোটাই বঙ্গবন্ধুকে কাবু করতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তার নাম নিতেও স্বৈরাচাররা দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর নামে মিলাদ পড়াতে দেয়া হয়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শত বাধা ডিঙিয়ে এই দেশের মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন। দেশকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে গেছেন। নির্বাচনী সব প্রতিশ্রুতি পালন করেছে। পদ্মা সেতু হয়েছে, মেট্রোরেল হয়েছে, টানেল হয়েছে। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হয়েছে।
হুইপ শামসুল হক চৌধুরী বলেন, নেতাকর্মীদের শোককে শক্তিতে পরিণত করতে হবে। আগামীতে নির্বাচনে যদি শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী বানাতে না পারি তাহলে দেশের করুণ অবস্থা হবে। ভয়কে জয় করে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসাবো।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি, জাতীয় চার নেতাকে হারিয়েছি এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে গিয়ে অনেক বীর সন্তান জীবন দিয়েছে। এসব হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে শুধু আওয়ামী লীগের নয় দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি করেছে। বাংলাদেশকে আরো অগ্রগতির দিকে নিয়ে যেতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী পদে আসীন করতে হবে।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপি, নোমান আল মাহমুদ এমপি, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সুদীর্ঘকাল ধরে পরাধীন বাঙালিকে বঙ্গবন্ধু এক করেছেন। ভৌগলিক স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন বর্তমান তরুণ প্রজন্মের দেশ গড়ার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
শোক সভায় আরো বক্তব্য দেন, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাবিবুর রহমান, এস এম আবুল কালাম, চেমন আরা তৈয়ব, প্রদীপ দাশ, অ্যাড. জহির উদ্দিন, মোছলেহ উদ্দিন মনসুর, অ্যাড. মির্জা কছির উদ্দিন, খোরশেদ আলম, নুরুল আবছার চৌধুরী, গোলাম ফারুক ডলার, অ্যাড. মুজিবুল হক, অ্যাড. কামরুন নাহার, আবু জাফর, আবদুল হান্নান চৌধুরী মঞ্জু, বোরহান উদ্দিন এমরান, ডা. তিমির বরণ চৌধুরী, অ্যাড. আবদুর রশিদ, বিজয় কুমার বড়ুয়া, মো. আইয়ুব আলী, মোস্তাক আহমদ আঙ্গুর, হায়দার আলী রনি, সৈয়দুল মোস্তফা চৌধুরী রাজু, দেবব্রত দাশ, ছিদ্দিক আহমদ বি.কম, মাহবুবুর রহমান শিবলী, আবুল কালাম আজাদ, সেলিম নবী, শাহিদা আক্তার জাহান, পটিয়া উপজেলা আ’লীগ সভাপতি আ ক ম সামশুজ্জামান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজা, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এম এ মোতালেব ও সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরী, চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ জুনু, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি খোরশেদ আলম ও সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন হিরু, দক্ষিণ জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শামীমা হারুন লুবনা, দক্ষিণ জেলা যুবলীগ সভাপতি দিদারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম জহুর, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়ের ও সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মো. গালিব, দক্ষিণ জেলা শ্রমিক লীগ সভপতি নুরুল হাকিম ও সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার ইসলাম আহমদ, দক্ষিণ জেলা কৃষকলীগ সভাপতি আতিকুর রহমান চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা তাঁতীলীগ সভাপতি দিদারুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা মৎস্যজীবী লীগ সভাপতি মনিরুল হক ও সাধারণ সম্পাদক সুরেশ দাশ, দক্ষিণ জেলা যুব মহিলা লীগ যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাড. কামেলা খানম রূপা, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম বোরহান উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আবু তাহের, খালেদা আক্তার চৌধুরী, কাজী শারমিন সুমী, চন্দনাইশ উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল জব্বার চৌধুরী, আনোয়ারা উপজেলা চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম, পটিয়া পৌর মেয়র আইয়ুব বাবুল।
শোক সভার ব্যানারে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী, সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমানের নাম থাকলেও তাঁরা সরকারি ও ব্যক্তিগত কাজের কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি বলে জানান দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, জাবেদ সাহেব (ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ) ঢাকায় ব্যস্ত ছিলেন, ড. আবু রেজা মুহম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী দেশের বাইরে। এছাড়াও আনোয়ারা, কর্ণফুলী এবং বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি–সাধারণ সম্পাদকগণও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের জাতীয় শোক দিবসের সভায় উপস্থিত ছিলেন না।