ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র বিশ্বে বিভাজনের রাজনীতিতে দুই মেরুতে থাকা দুই দেশের রাষ্ট্রনেতার সম্ভাব্য বাংলাদেশ সফরের খবর দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এর মধ্যে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সফরের দিনক্ষণ ঠিক হয়েছে। এরপর সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সফর চূড়ান্ত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানিয়েছেন মোমেন। গতকাল বুধবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের ৭–৮ তারিখে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ বাংলাদেশ সফর করবেন। খবর বিডিনিউজের।
ভারতে জি–২০ জোটের শীর্ষ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যোগ দিচ্ছেন না। সম্মেলনে তার প্রতিনিধিত্ব করবেন ল্যাভরভ। সেখানে যাওয়ার পথেই তিনি আসবেন ঢাকায়।
সেপ্টেম্বরের ১১ তারিখ নয়াদিল্লিতে জি–২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। সেখান থেকে তাকেও আনতে চাইছে ঢাকা। মোমেন বলেন, অনেকে জি–২০ তে আসছেন। আমরা ওদেরকে আগে দাওয়াতও দিয়েছি। তারা জি–২০ তে নয়াদিল্লিতে আসবেন, সেই সুযোগে তারা আমাদের দেশে আসার একটা উদ্যোগ নিয়েছেন। এবং আমরা তাদেরকে স্বাগত জানাব।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট আসছেন কি না– এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, এখনও কনফার্ম হয় নাই। এনিয়ে খবর প্রকাশের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা এখনও ফাইনাল করিনি। আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ঢাকায় এলে আলোচনার বিষয়বস্তু কী হতে পারে– এমন প্রশ্নে মোমেন বলেন, আমাদের অনেকগুলো ইস্যু। রোহিঙ্গা ইস্যু, নারীর ক্ষমতায়ন ইস্যু, সবার সাথে আমাদের বিনিয়োগ বাড়ানোর ইস্যু, ব্যবসা–বাণিজ্য বাড়ানো, সেই সাথে রেগুলেটেড মাইগ্রেশনের ইস্যু, এগুলো আমাদের নর্মাল ইস্যু। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এলে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের বিষয়টিও তার সামনে মেলে ধরার পরিকল্পনা রয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখ ঢাকায় এসে পরদিন ঢাকা ছাড়বেন। সফরের প্রথম দিন দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে বলে মোমেন জানান। তিনি বলেন, উনার সাথে আমার সাউথ আফ্রিকাতেও আলাপ হয়েছে। এবং আগে টাইম যেটা ছিল, এখন একটু আগে আসবেন। তবে, অল্পক্ষণের জন্য আসবেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাথে উনার সাক্ষাতের ব্যবস্থা করেছি। ঢাকা সফর শেষ করে নয়াদিল্লি গিয়ে বিশ্বের প্রধান ২০ অর্থনীতির জোট জি–২০’র শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন ল্যাভরভ।
ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের বিষয়ে আলোচনা হবে কি না– এমন প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের সব সময়ের অ্যাপ্রোচ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব সময় বলেন, এই যুদ্ধ বন্ধ করেন।