তানভীর বাসায় সারাক্ষণ ছুটাছুটি করে খেলনাপাতি নিয়ে। সে সেসব নিয়ে আজও তার বাসায় খেলছিল চাচাত ভাই মোস্তা্ফা, মুসকান, মাহি, মুবিন ও আদনাদের সাথে। প্রতিদিনের মত আজও তাদের খেলার সময় নানা কথায় হই চৈই পুরো ঘর উৎসবের আমেজ। এ সময় তানভীরের আরেক চাচাত ভাই ইমন এসেই মাহিকে বলল– “তোমাকে নিচতলায় খুঁজে পাইনি। তোমাদের বাসায় ভুত আছে। লাইট জ্বলছে নিভছে নিজে নিজে। দরজাও খুলছে একবার, বন্ধ হচ্ছে একবার“।
ইমনের এসব কথা শুনে সকলে তো অবাক,,!! কি বলছেন ইমন ভাই! তানভীর তো বেশ অবাক এ কথা শুনে।
সকলে অবাক দৃষ্টিতে থাকায় ইমনের দিকে। তানভীর চোখ কপালে তখন। ইমন সকলের বয়সে কিছুটা বড় হলেও বন্ধুর মত সব সময় খেলাধুলা করে তাদের সাথে।
তানভীর চিন্তা করে ইমন ভাই এইসব কি বলে!! মাহি ভাইও তো আগ্রহ নিয়ে শুনছে।
চলতো দেখি বলে মাহি ইমনকে নিয়ে গেল। ফিরে এসে উপস্থিত সকলের উদ্দেশ্য মাহি বলে, “কৈ ভুত তুত তো নাই! বইতে পড়েছি ভুতের গল্প। একটি ভুতও ভাল না।“
ইমন এবার মাথা নেড়ে সায় দিল।
তানভীর এ সময় বলে, বৃষ্টি–বিজলীর কারণে লাইট বন্ধ হচ্ছে, জ্বলছে..। আমাদের দরজা–জানালাও তো বাতাসে এমন করে.. ।
সে এও বলে, ভুত দেওয়ালের ভিতরে থাকত। আল্লাহ কোথায় জানি নিয়ে গেছে। এখন দেখি না…।
তানভীরের এইসব কথা শুনে ও ইমন মাহির কথা শুনে তানভীরের আব্বু ও সবার বড় আব্বুর হাসি পেল। তিনি সকলের উদ্দেশ্য বলেন– এদিকে এসো সকলে। শুন তোমরা– ভুতের ভয় নয়। ভাল করে লেখা–পড়া করলে এবং কম দুষ্টামি করলে ভুত তোমরা দেখবে না। ভুত তোমাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। ভুত তুত পালাবে..।
তাঁর এই অভয় কথা শুনে সকলের মুখের হাসি দেখে কে…। সকলে হাসল প্রাণ খুলে। হি; হি; হি;…