এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপ শুরু কাল

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ২৯ আগস্ট, ২০২৩ at ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ

এশিয়ান ক্রিকেটের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই এশিয়া কাপ মাঠে গড়াচ্ছে আগামীকাল বুধবার। নানা টান পোড়েনের পর শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান এবং শ্রীলংকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে এবারের এশিয়া কাপ। যেখানে ১৩ ম্যাচের ৪টি হবে পাকিস্তানের দুই ভেন্যু লাহোল এবং মুলতানে। ফাইনাল সহ বাকি ৯টি ম্যাচ হবে শ্রীলংকার দুই ভেন্যু কলম্বো এবং পাল্লেকেলেতে। আগামী ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ওয়ানডে ফরমেটেই হচ্ছে এশিয়া কাপের ১৬তম আসর। টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে মুলতানে নেপালের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। এই প্রথমবারের মতো এশিয়া কাপে আয়োজক দু’টি দেশ। এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক ছিল পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাধ্য হয়ে যৌথভাবে ইভেন্টটি আয়োজনে করছে দুই দেশ। টুর্নামেন্টে সবচেয়ে সফল দল ভারত। সাতবার শিরোপা জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ছয় বার শিরোপা জয় করে শ্রীলংকা। দুবার জিতেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশ তিনবার ফাইনালে উঠলেও শিরোপা জিততে পারেনি। ১৯৮৪ সালে শুরু হওয়া এই টুর্নামেন্টের প্রত্যেক আসরেই অংশ নিয়েছে শ্রীলংকা। একবার করে অংশ নেয়নি ভারত, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ। এবারের এশিয়া কাপে অংশ নিচ্ছে ছয়টি দল। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, আফগানিস্তান সরাসরি খেলছে। বাছাই পর্ব পেরিয়ে এসেছে নেপাল। দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে দলগুলো। যেখানে বাংলাদেশের গ্রুপে রয়েছে আফগানিস্তান এবং শ্রীলংকা। আর ভারত, পাকিস্তানের গ্রুপে রয়েছে নেপাল। গ্রুপ পর্ব শেষে দুই গ্রুপের শীর্ষ দুটি করে চারটি দল খেলবে সুপার ফোর পর্বে। আর সুপার ফোর পর্ব শেষে পয়েন্ট তালিকার সবার উপরের দল দুটি খেলবে ফাইনালে। আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ফাইনাল। এশিয়া কাপে প্রথমবারের মতো অংশ নিচ্ছে নেপাল। একমাত্র নেপাল ছাড়া বাকি পাঁচ দলই আগামী বিশ্বকাপে খেলবে । এজন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে এবারের টুর্নামেন্টটি সব দলের জন্যই অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যদিও শিরোপা জয়ের দিক থেকে ফেবারিট হিসেবে কাগজে কলমে সবচেয়ে শক্তিশালী দল ভারত। অপরদিকে বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে অন্তত ওয়ানডে ফরম্যাটে যেকোন দলের বিপক্ষে যেকোন কন্ডিশনে জিততে পারে তারা। এবারের বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত করতে শ্রীলংকাকে বাছাইপর্ব খেলতে হয়েছে। তবে দলটির এশিয়া কাপের রেকর্ড অসাধারন। এছাড়া এবারের টুর্নামেন্টে তারা নিজ মাঠে খেলবে। যে কারণে তাদেরকেও ফেবারিট মানতে হচ্ছে। আবার ঐতিহাসিকভাবে এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে খুব একটা সফল দল বলা যাবে না। আবার ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ হিসেবে পরিচিতি থাকায় তাদেরকে আলোচনার বাইরেও রাখা যাবে না। তাছাড়া বাবর আজমের অসাধারণ নেতৃত্ব গুনের কারণে বিশ্ব ক্রিকেটে বেশ উজ্জীবিত হয়ে ধারাবাহিক পারফর্মেন্স করে যাচ্ছে পাকিস্তান। এখন তারা বিশ্বের এক নাম্বার ওয়ানডে দল। আবার ওয়ানডে ক্রিকেটটা আফগানিস্তান খুব বেশি ভাল না খেললেও নিজেদের দিনে বিশ্বের যে কোন দলকে হারানোর যোগ্যতা রয়েছে তাদের। আফগানদের ব্যাটিংয়ে গভীরতার ঘাটতি রয়েছে। তবে রশিদ খানের নেতৃত্বে বিশ্বমানের স্পিনারদের নিয়ে ওই ঘাটতি পুরণ করার দক্ষতা রয়েছে দলটির। কাজেই পাঁচ দলই সমানে সমান। এখন দেখার বিষয় বিশ্বকাপের আগে এশিয়া কাপের ট্রফিটা কাদের ঘরে যায়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেখ রাসেল একাডেমি কাপ ফুটবলের ফাইনালে আবদুস সোবহান ফুটবল দল
পরবর্তী নিবন্ধসিএসইতে লেনদেন ১০.৭১ কোটি টাকা