চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপের নৌপথে চলাচলকারী অন্যতম নৌরুট হলো কুমিরা–গুপ্তছড়া নৌরুট। জাহাজ ও অন্যান্য নৌযান চলাচলের সুবিধার্থে এ রুটে বিআইডব্লিউটিএর উদ্যোগে তিনটি বয়াবাতি বসানো হয়েছে।
নিয়মানুযায়ী এসব বয়াবাতি থেকে এক কিলোমিটার দূরত্বে জেলেদের জাল বসানোর নিয়ম থাকলেও তা মানছেন না স্থানীয় জেলেরা। গতকাল রবিবার সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম উপকূলে কুমিরা ঘাট থেকে মাঝনদীতে লাল বয়াবাতি পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসানো হয়েছে জেলেদের মাছ ধরার এসব জাল। যার কারণে যাত্রীবাহী স্টিমার এমবি আইভি রহমানের চলাচল পথে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছে।
এমভি আইভি রহমানের ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ আমিন হোসেন দৈনিক আজাদীকে জানান, এসব জালের কারণে আমাদের যাত্রা কমপক্ষে ৩০ মিনিট সময় বেশি লাগে। এছাড়া যেকোন সময় পাখা ভেঙে ইঞ্জিনও বিকল হয়ে যেতে পারে। তিনি আরো জানান, কমপক্ষে ৩ নটিক্যাল মাইল উত্তরে গিয়ে বাশবাড়িয়া–কাছিয়াপাড় নৌরুটের পেরিয়ে ঘুরে আমরা আজকে কুমিরা থেকে গুপ্তছড়া ঘাটে যেতে হচ্ছে। এরপরও জালের জন্য বেগ পেতে হচ্ছে শিপ চলাচল করতে।
সন্দ্বীপ অধিকার আন্দোলনের সভাপতি হাসানুজ্জামান সন্দ্বীপী জানান, ২০২২ সালে জেলেদের জালের সাথে স্পিডবোটের পাখা আটকে চারজন শিশুর সলিল সমাধি ঘটে। এরপরও জেলেরা এ নৌরুটে অনিয়ন্ত্রিতভাবে নৌযান চলাচলের পথে জাল দিয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানায়। সন্দ্বীপ কোস্টগার্ড স্টেশনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে বলা হয়। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম দৈনিক আজাদীকে জানান, মগধরা ও হারামিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তাদের স্ব স্ব ইউনিয়নের জেলেরা যেন বয়াবাতি থেকে উভয় পাশে ৫০০ মিটার দূরে তাদের জালগুলো দেয়া হয়। এছাড়া সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ বিষয়ে কথা বলেছেন যাতে চট্টগ্রামের পাশে কুমিরা ঘাটেও একই ব্যবস্থা নেয়া হয় নির্বিঘ্নে স্টিমার ও অন্যান্য নৌযান চলাচলের জন্য।












