তেল বিক্রিতে কমিশন বাড়ানো, ট্যাংক লরির ইকোনমিক লাইফ ৫০ বছর করাসহ তিন দফা দাবিতে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছেন জ্বালানি তেল খাতের দুই সংগঠন। গতকাল রোববার ধানমণ্ডির সীমান্ত স্কয়ারে সংবাদ সম্মেলন করে এ ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ট্যাংক লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। একই দাবিতে গত মাসেও সংবাদ সম্মেলন করে ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছিল এ সংগঠন দুটির ঢাকা বিভাগীয় কমিটি। রোববার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠন দুটির কেন্দ্রীয় সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের দাম যখন ধাপে ধাপে বাড়ানো হল, তখন আমাদের কমিশন কমিয়ে দেওয়া হল। তেলের দাম বাড়ানো হলে আমাদের কমিশনও বাড়াতে হবে। আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে আমাদের দাবি মেনে কমিশন বাড়াতে হবে। পাশাপাশি জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা যে কমিশন এজেন্ট– এ বিষয়ে সরকারের সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করতে হবে। পাশাপাশি ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে ট্যাংক লরির ইকনোমিক লাইফের জন্য পৃথকভাবে সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করতে হবে। তা না হলে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ করে দেওয়া হবে।
সাজ্জাদুল করিম বলেন, তাদের দাবি জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করতে হবে, পেট্রোল পাম্পের ব্যবসায়ীদের কমিশন এজেন্ট হিসেবে গেজেট প্রকাশ করতে হবে এবং ট্যাংক লরির ইকোনমিক লাইফ ৫০ বছর করতে হবে। বর্তমানে প্রতি লিটার জ্বালানি তেলে তাদের ২ দশমিক ৭১ টাকা কমিশন দেওয়া হয়। এখন ব্যবসায়ীরা তিনগুণ বেশি কমিশন চাইছেন। পাশাপাশি সরকার যে মোটরযান স্ক্র্যাপ নীতিমালা করেছে, তাতে ২০ বছরের পুরনো বাস ও ২৫ বছরের পুরনো ট্রাক স্ক্র্যাপ করে ফেলার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে চলাচলকারী ট্যাংক লরির বেশির ভাগই অনেক পুরনো, ট্রাকের চেসিসের ওপর ট্যাংক জুড়ে দিয়ে তৈরি করা। সরকারের স্ক্র্যাপ নীতিমালার আওতায় ট্যাংক লরিগুলো রাস্তায় চলাচলের সুযোগ হারাবে। এ কারণে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা ট্যাংক লরির ইকোনমিক লাইফ বাড়ানোর দাবি তুলেছেন।