পশ্চিমবঙ্গে আতশবাজি কারখানায় বিস্ফোরণে নিহত ৭

আজাদী অনলাইন | রবিবার , ২৭ আগস্ট, ২০২৩ at ৮:০৩ অপরাহ্ণ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের নীলগঞ্জে অবৈধ একটি আতশবাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে এখন পর্যন্ত সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, আজ রবিবার (২৭ আগস্ট) সকালের এই বিস্ফোরণ এতটাই জোরাল ছিল যে গোটা এলাকা কেঁপে উঠেছিল। শব্দ শোনা গেছে দূরের বারাসত শহর থেকেও। পুলিশ প্রাথমিকভাবে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়ার কথা জানিয়েছে। তবে স্থানীয়দের আশঙ্কা আরও অনেকের মৃত্যু হয়েছে।

দোতলা ভবনটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে আশপাশের একাধিক পাকা বাড়িও। স্থানীয়রা বলছেন, বিস্ফোরণের ধাক্কায় দোতলা ভবনের ছাদের একটি অংশ উড়ে গিয়ে পাশের বাড়ির ছাদে পড়ে সেটিও আংশিক ভেঙে পড়ে।

ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, বিস্ফোরণের পরই আহতদের নিয়ে হাসপাতালে যাওয়া হয়। ছয়জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়। আর একজনের মৃত্যু হয় হাসপাতালে।

এখনও হাসপাতালে আটজনের চিকিৎসা চলছে। আহতদের মধ্যে ৮ বছরের এক বালকও আছে।

স্থানীয়রা বলছেন, শুধু কারখানার শ্রমিক নন, বিস্ফোরণের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে পথচারীরও। এছাড়াও যে পাকা ভবনে আতশবাজি তৈরি হতো সেটিও সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে।

ধ্বংসস্তূপে অনেকেই চাপা পড়ে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা দশ পেরিয়ে যেতে পারে। ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে। ফলে আরও কোনো দেহ চাপা পড়ে আছে কি না তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।

স্থানীয় সূত্রে বলা হচ্ছে, গোটা এলাকায় আতশবাজির কারবার চলত। যে ভবনে বিস্ফোরণ হয়েছে সেটি ছাড়াও আশপাশের বিভিন্ন ভবনে ঘরোয়াভাবে আতশবাজির মশলা তৈরি হতো। পুলিশের চোখ এড়িয়ে দিনের পর দিন এই বেআইনি কারবার কীভাবে চলেছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কিন্তু স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে তারা। স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ ও শাসকদলের নেতাদের যোগসাজশেই বেআইনিভাবে আতশবাজির কারবার চলছিল। বারবার প্রশাসনে নালিশ জানালেও কাজ হয়নি। স্থানীয়দের ক্ষোভ প্রশমিত করে পুলিশ বাহিনী উদ্ধারকাজে নামে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকাপ্তাইয়ে পাহাড়ি ছড়ার স্রোতে প্রতিবন্ধী শিশুর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধলোহাগাড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের আলোচনা সভায় এম এ মোতালেব সিআইপি