গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মূল মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণা করার দাবি তুলেছে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। গত শুক্রবার নগরীর নিউমার্কেট চত্বরে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ দাবি তোলা হয়। বাজার দরের সাথে সংগতি রেখে গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যূনতম মূল মজুরি ঘোষণা, অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল নামে অগণতান্ত্রিক ও শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী বিল সংসদ থেকে প্রত্যাহার, কল্যাণ তহবিল গঠন, রেশনিং ব্যবস্থা চালু, অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, কথায় কথায় শোকজ–সাসপেন্ড, উৎপাদন বৃদ্ধির নামে গালা–গালি, মারধর ও চাকুরিচ্যুত বন্ধের দাবিতে বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক শাহাদাৎ হোসেন ইমরানের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শাহ আলমের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ, চট্টগ্রাম জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মামুন, চট্টগ্রাম জেলা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ রিপন, মোহরা এ্যাপারেলস শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি জ্যোৎস্না বেগম, বাংলাদেশ ওএসকে গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন সদস্য মো. সুমন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সস্তা শ্রম লুট করার জন্য সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো আমাদের দেশে গার্মেন্টস, ইপিজেটসহ বিভিন্ন শিল্প কলকারখানা গড়ে তোলে। আজ গার্মেন্টস শিল্প রপ্তানি আয়ের সিংহভাগ যোগান দিচ্ছে। অথচ গার্মেন্টসের ৪২ লাখ শ্রমিকের জীবন অত্যন্ত মানবেতরভাবে কাটছে। ২০১৮ সালের সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি অনুযায়ী একজন গার্মেন্টস শ্রমিকের ন্যূনতম মোট মজুরি ৮ হাজার ২০০ টাকা। অথচ ১৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত শ্রমিকদের শ্রম মান বৃদ্ধি হয়েছে ডবল বা উৎপাদন বৃদ্ধি হয়েছে প্রায় দ্বিগুণ রপ্তানিও বেড়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সামগ্রীর দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। যে মজুরি পায় তা দিয়ে একজন শ্রমিক পরিবার ১০ দিনও চলতে পারে না। গার্মেন্টস শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত না করে সরকার যে উন্নয়নের কথা বলে তা হাস্যকর। তাই সকল শ্রমিকদের প্রতি আমাদের আহ্বান ঐক্যবদ্ধ সংগ্রাম ছাড়া কোনো দাবি আদায় হয় না। বাঁচার মত নূন্যতম মূল মজুরি ২০ হাজার টাকা আমরা যে দাবি করছি তা দিয়ে একজন শ্রমিক চলতে পারবে না। এরপরও সরকার ও মালিকরা গড়িমসি করছে। সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান আমরা বেশি কিছু চাই নাই, মাত্র ২০ হাজার টাকা মজুরি দাবি করছি। আমাদের দাবি মেনে নিন; না হলে আমরা রাজপথে আছি, রাজপথে থাকবো। সভায় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধ লাগাতার আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানানো হয়। সমাবেশ শেষে এক মিছিল দোস্ত বিল্ডিং চত্বর থেকে শুরু হয়ে পুরাতন রেল স্টেশন ঘুরে পুনরায় দোস্ত বিল্ডিং এসে শেষ হয়।












