খালি হাতে বিদায় নিতে চাই না, কিছু করে যেতে চাই

রোটারী ক্লাব গ্রেটার চিটাগংয়ের অভিষেকে আজাদী সম্পাদক

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২৭ আগস্ট, ২০২৩ at ৪:৪৫ পূর্বাহ্ণ

আমাদের চারপাশে কম সৌভাগ্যবানদের দিকে আমাদের এগিয়ে আসতে হবে। প্রত্যেকে পৃথিবীটাকে বদলে দিতে চায়। আগে নিজেকে বদলাতে হবে। আমি নেপোলিয়নের মতো খালি হাতে বিদায় নিতে চাই না। আমি এমন কিছু করে যেতে চাই, যেন গিয়ে বলতে পারি, দেখ, আমাকে পৃথিবীতে পাঠিয়েছিলে। আমি মানুষের জন্য কিছু করে এসেছি, কিছু রেখে এসেছি। তবেই এই পৃথিবী আনন্দময়ী হয়ে উঠবে।

গতকাল শনিবার নগরীর একটি হোটেলে রোটারী ক্লাব অব গ্রেটার চিটাগংয়ের দশম অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একুশে পদকপ্রাপ্ত দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক এসব কথা বলেন। ক্লাব সভাপতি মো. জামাল উদ্দিন সিকদারের সভাপতিত্বে এবং ইভেন্ট চেয়ার ও সহসভাপতি মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রোটারি জেলা ৩২৮২ বাংলাদেশের গভর্নর ইঞ্জিনিয়ার মো. মতিউর রহমান।

এম এ মালেক বলেন, মানুষের আজন্ম ইচ্ছে হলো শত সহস্র বছর বেঁচে থাকা। এই চাওয়ার নামই আশা। আর যুগের পর যুগ ধরে মানুষের মনে স্থান পাবার নিরন্তর বাসনা মানব সমাজের আকাক্সক্ষা। নিজেকে তৃপ্ত, সন্তুষ্ট এবং সসম্মানে দেখবার এই আশাআকাক্সক্ষায় মানুষ পাড়ি দিয়েছে হাজার, লক্ষ বছর। বিশেষত মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর মাঝেই খুঁজে পাওয়া যায় ভালোবাসাবেষ্টিত হয়ে বহুল আকাক্সিক্ষত বেঁচে থাকার স্বপ্ন।

তিনি বলেন, হাতটা বাড়াতে হবে উভয়কে। যে দেবে এবং যে নেবে। এই দেওয়ানেওয়ার সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে রোটারি এবং লায়ন্স ক্লাব সাম্যের পৃথিবী গড়ার যে সংগ্রাম করে যাচ্ছে তা এক কথায় অভূতপূর্ব। তিনি আরো বলেন, অনুষ্ঠানে আমার নামের আগে একুশে পদকপ্রাপ্তির কথা বলা হচ্ছে। একুশ আমার অহংকার, একুশ মানে মাথা নত না করা। লোকে বলে বাংলাদেশ চিরজীবী হোক। এটা বলার মধ্যে একটা শঙ্কা রয়ে যায়। আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবী যতদিন বেঁচে থাকবে, এ বাংলাদেশের অস্তিত্ব ততদিন অটুট থাকবে।

রোটারী গভর্নর ইঞ্জিনিয়ার মো. মতিউর রহমান আরআই প্রেসিডেন্ট ঘোষিত এবারের ‘এরিয়া অব ফোকাস’ বাস্তবায়নে সকল ক্লাবের সহযোগিতা প্রত্যাশা করে বলেন, ৩২৮২’তে প্রায় ১৮৩টি ক্লাব রয়েছে। প্রত্যেক ক্লাব যদি গৃহহীনদের জন্য ন্যূনতম একটি গৃহ নির্মাণের দায়িত্ব নেয় প্রায় দুইশ ঘর পাবে সুবিধাবঞ্চিতরা। তার সময়কালে ঘোষিত কর্মসূচি বাস্তবায়নে সবার সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন গভর্নর। তিনি চট্টগ্রামে লায়ন্সের সিগনেচার প্রজেক্ট লায়ন্স চক্ষু হাসপাতালের উদাহরণ দিয়ে অনুরূপভাবে চট্টগ্রামে তার সময়কালে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার ঘোষণা দেন।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ডিস্ট্রিক্ট ফার্স্ট লেডি পিপি সামিনা ইসলাম, পিডিজি এম এ আউয়াল, পিডিজি আবদুল আহাদ, পিডিজি প্রফেসর মো. তৈয়ব চৌধুরী, ডিজিএন ডা. মঈনুল ইসলাম মাহমুদ, অ্যাসিসট্যান্ট গভর্নর প্রফেসর ড. সৈয়দা খুরশিদা বেগম, ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারি মো. আকবর হোসেন, সাবেক জেলা সচিব পিপি মোহাম্মদ শাহজাহান, এডিশনাল এরিয়া ডিরেক্টর পিপি এমদাদুল আজিজ চৌধুরী, এডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট সেক্রেটারি পিপি আজিজুল গনি চৌধুরী, ডেপুটি গভর্নর পিপি শহীদুল ইসলাম চৌধুরী, অ্যাসিসট্যান্ট গভর্নর পিপি ইঞ্জিনিয়ার আমজাদ হোসেন, সদ্য সাবেক সভাপতি মো. আলমগীর পারভেজ, ভাইস প্রেসিডেন্ট সৈয়দা কামরুন নাহার, ক্লাব সেক্রেটারি মোহাম্মদ বেলাল, জয়েন্ট সেক্রেটারি ড. আয়েশা আফরিন, মিজানুর রহমান আপন, ইকরাম পাশা ও ফারিহা চৌধুরী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ৭৮৬
পরবর্তী নিবন্ধএই দিনে