চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলার জন্য ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৪২ হাজার টাকা ছাড় করেছে মন্ত্রণালয়। ‘উপজেলা উন্নয়ন সহায়তা’ খাত থেকে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে থোক বরাদ্দ হিসেবে এ অর্থ ছাড় করা হয়।
চলতি অর্থ বছরে (২০২৩–২০২৪) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে দেশের উপজেলাগুলোর জন্য উন্নয়ন সহায়তা থোক খাতে বরাদ্দ আছে ৬৫০ কোটি টাকা। খাতটির সাধারণ বরাদ্দের প্রথম কিস্তি বাবদ গত সপ্তাহে দেশের ৪৯৫টি উপজেলার জন্য ছাড় করা হয় ১১২ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর মধ্যে চট্টগ্রামের ১৫ উপজেলাও রয়েছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, চট্টগ্রামের উপজেলাগুলোর মধ্যে কর্ণফুলী উপজেলার জন্য ২২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা, আনোয়ারা উপজেলার জন্য ১৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, বাঁশখালী উপজেলার জন্য ২৩ লাখ ৭৩ হাজার টাকা, বোয়ালখালী উপজেলার জন্য ১৪ লাখ ২৪ হাজার টাকা, চন্দনাইশ উপজেলার জন্য ১৬ লাখ ১৮ হাজার টাকা, ফটিকছড়ি উপজেলার ২৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকা, হাটহাজারী উপজেলার জন্য ২৩ লাখ ১০ হাজার টাকা, লোহাগাড়া উপজেলার জন্য ১৯ লাখ ৫৭ হাজার টাকা, মীরসরাই উপজেলার জন্য ২৮ লাখ ২০ হাজার টাকা, পটিয়া উপজেলার জন্য ২৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার জন্য ২৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা, রাউজান উপজেলার জন্য ২১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, সন্দ্বীপ উপজেলার জন্য ২৮ লাখ ৮০ হাজার টাকা, সাতকানিয়া উপজেলার জন্য ২২ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং সীতাকুণ্ড উপজেলার জন্য ২৩ লাখ ১২ হাজার টাকা ছাড় করা হয়েছে। মঞ্জুরিকৃত অর্থ উপজেলা পর্যায়ে উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপজেলা–২ শাখার উপসচিব ড. মাসুরা বেগম। এর আগে ১৭ আগস্ট তার স্বাক্ষরে স্থানীয় সরকার বিভাগের চিফ একাউন্টস এন্ড ফিন্যান্স অফিসারকে অর্থ মঞ্জুরি প্রদান পত্র দেয়া হয়। এতে মঞ্জুরিকৃত অর্থ নিয়ে কয়েকটি শর্ত দেয়া হয়। শর্ত অনুযায়ী, ছাড়কৃত অর্থ প্রচলিত সরকারি বিধান ও স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তক ২০১৪ সালের ১০ নভেম্বর জারিকৃত ‘উপজেলা পরিষদ উন্নয়ন তহবিল ব্যবহার নির্দেশিকা’ অনুসরণে উপজেলা পর্যায়ে উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় করতে হবে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার যৌথভাবে মঞ্জুরিকৃত অর্থের আয়ন ও ব্যয়ন কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করবেন। ব্যয়ের ক্ষেত্রে পিপিআর–২০০৮ অনুসরণসহ যাবতীয় আর্থিক বিধি–বিধান যথাযথভাবে পরিপালন করতে হবে। বরাদ্দের অধীন অনুমোদিত স্কিম এবং প্রচলিত আর্থিক রীতি–নীতি অনুযায়ী ব্যয় নির্বাহ করে সংশ্লিষ্ট হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার নিকট বিল দাখিলপূর্বক সরকারি তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ আহরণ করতে হবে। এছড়া মঞ্জুরিকৃত অর্থের অব্যয়িত অংশ ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যে চালানযোগে সরকারি কোষাগারে জমা করতে হবে। ব্যয় বিবরণী আগামী বছরের ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে প্রেরণ করতে হবে।