চেক প্রত্যাখ্যানের মিথ্যা মামলা করায় এর বাদীকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করেছে হাই কোর্ট। তার করা দুটি মামলা থেকে আসামিকে খালাসও দেওয়া হয়েছে। দুই মামলার আপিল ও রিভিশন শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক বেঞ্চ এই রায় দেয়। বাদী জাহাঙ্গীর আলম ইউনুছের পক্ষে শুনানি করেন এ কে এম ফকরুল ইসলাম। আসামি এ কে এম গোলাম ফারুকের পক্ষে ছিলেন মো. লুৎফর রহমান, তার সঙ্গে ছিলেন শামীমা সুলতানা ও শারমীন আক্তার। খবর বিডিনিউজের।
মামলার বরাতে অ্যাডভোকেট শামীমা জানান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট গোলাম ফারুকের কর্মচারী ইউনুছ দুটি চেক চুরি করে ২০১১ সালে চাকরি থেকে অব্যাহতি নেন। পরে গোলাম ফারুকের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ১৬ নভেম্বর ১ লাখ ৮ হাজার টাকার চেক প্রত্যাখ্যানের (ডিজ–অনার) প্রথম মামলাটি করেন। শামীমা জানান, ওই মামলা চলমান অবস্থায় ২০১৩ সালে ২০ লাখ টাকার চেক প্রত্যাখ্যানের আরেকটি মামলা করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর যুগ্ম দায়রা জজ ২য় এবং ৭ম আদালতে মামলা দুটির বিচার হয়। প্রথম মামলায় আসামি গোলাম ফারুকের সাজা হয়, দ্বিতীয়টিতে তিনি খালাস পান। খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে বাদী ইউনুছ হাই কোর্টে আপিল করেন। অন্যদিকে সাজার রায়ের বিরুদ্ধে গোলাম ফারুকও রিভিশন আবেদন করেন।
শামীমা বলেন, মামলা দুটির একত্রে শুনানি শেষে হাই কোর্ট উভয় মামলায় আসামি গোলাম ফারুককে খালাস দেন এবং একই সঙ্গে মিথ্যা মামলা দায়ের করায় জাহাঙ্গীর আলম ইউনুছকে ৩০ লাখ টাকা জরিমানা করেন।












