বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু এইচ সুবুলু গত ২৩ আগস্ট ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে দি চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালকবৃন্দের সাথে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এসময় বক্তব্য রাখেন নবনির্বাচিত চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, সহ–সভাপতি রাইসা মাহবুব ও পরিচালক মোহাম্মদ আকতার পারভেজ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বর্তমান চেম্বার পরিচালকবৃন্দ এ কে এম আকতার হাসেন, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী, অঞ্জন শেখর দাশ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, ইঞ্জিনিয়ার ইফতেখার হোসেন ও মোহাম্মদ আদনানুল ইসলাম, নবনির্বাচিত পরিচালক আলমগীর পারভেজ ও মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, মিয়ানমারের অনারারী কনসাল এ এইচ এম হাকিম আলী, দূতাবাসের থার্ড সেক্রেটারি ফিতরি নুরিল ইসলামসহ কর্মকর্তাবৃন্দ ।
ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ফুড প্রসেসিং ও হালাল ফুডের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইন্দোনেশিয়ান ব্র্যান্ড জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ইন্দোনেশিয়া অস্ট্রেলিয়া থেকে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ সামগ্রী ও কাঁচামাল আমদানি করে তা প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে আবার ঐ দেশে রপ্তানি করছে। এছাড়া ইন্দোনেশিয়ান ইনস্ট্যান্ট নুডলসও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তিনি হালাল ফুড, ফুড প্রসেসিং, ইনস্ট্যান্ট নুডলস ইন্দোনেশিয়ান টেক্সটাইল খাতে বিনিয়োগকারীদের সাথে বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীদের যৌথ বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশের সুস্বাদু আম ইন্দোনেশিয়ার রপ্তানির আহবান জানান। একই সাথে আগামী ১৮–২২ অক্টোবর জাকার্তায় অনুষ্ঠাতব্য আন্তর্জাতিক ট্রেড এক্সপোতে বাংলাদেশী পণ্য প্রদর্শনের মাধ্যমে বৈশ্বিক রপ্তানির সুযোগ গ্রহণ করার অনুরোধ জানান।
চিটাগাং চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, ঐতিহাসিক ধর্মীয় এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের দিকে থেকে বাংলাদেশের অন্যতম বন্ধুপ্রতীম রাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়া। দু’দেশের মধ্যে রয়েছে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি। উভয়দেশের বাণিজ্যের পরিমাণ ৪ বিলিয়ন ডলার হলেও ইন্দোনেশিয়া থেকে বাংলাদেশ ৩.৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি করে।
বাংলাদেশ মূলতঃ পামওয়েল ও কয়লা আমদানি করে। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া হঠাৎ করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পামওয়েল ও কয়লা রপ্তানি নিষিদ্ধ করায় বিপাকে পড়ে বাংলাদেশী আমদানিকারকরা। এ ধরনের পরিস্থিতিতে নিষিদ্ধ করা হলেও আমদানি অর্ডারগুলো নিষেধাজ্ঞার বাহিরে রাখার আহবান জানান তিনি। চট্টগ্রামে বিভিন্ন অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ভৌগোলিক সুবিধা তুলে ধরে চেম্বারের নবনির্বাচিত সভাপতি চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের সাথে যৌথ বিনিয়োগের আহবান জানান। এছাড়াও তিনি দু’দেশের মধ্যে পর্যটন শিল্পের বিকাশে ইন্দোনেশিয়ান অনএ্যারাভাল ভিসা পুনরায় চালু করার অনুরোধ জানান।
চেম্বারের সহসভাপতি রাইসা মাহবুব বলেন, ইন্দোনেশিয়ার ইনস্ট্যান্ট নুডলস ও টেঙটাইলের বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তা রয়েছে। বাংলাদেশেও রয়েছে নুডলসের প্রচুর চাহিদা। তাই ইন্দোনেশিয়ান উদ্যোক্তাদের সাথে ইনস্ট্যান্ট নুডলস উৎপাদনে যৌথ বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ থেকে সালোয়ার কামিজ রপ্তানির আহবান জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।