অবশেষে এক বছর পর খুলেছে ই–অকশনের (অনলাইন নিলাম) জট। তিন বছর আগে অনলাইন নিলামের যাত্রা শুরু হলেও শুরু থেকে নিলামকে কেন্দ্র করে নানা অনিয়ম অব্যবস্থাপনার অভিযোগ করেন বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারীরা)। এবার বিভিন্ন ধরনের ফেব্রিক্স–সিলিন্ডারসহ ২৩ লট পণ্যের নিলামে তোলা হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল ৯টা থেকে থেকে শুরু হয়েছে অনলাইনে প্রস্তাবিত মূল্যগ্রহণ। চলবে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টা পর্যন্ত। আগামী ২৭ ও ২৮ আগস্ট বিডাররা পণ্য পরিদর্শন করতে পারবেন জানিয়েছেন নিলাম শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
২৩ লট পণ্যের মধ্যে রয়েছে– ৮২৬ পিস খালি এলপিজি সিলিন্ডার, ১৮৭ কার্টন ইলাস্টিক ব্যান্ড, ১১ হাজার ৮৯০ পিস প্লাস্টিক শিট, ১০ প্যাকেট গ্লাস বিডস, ৪৪০ কেজি, ৪৪০ কেজি থিয়ানশি লিপিড মেটাবলিক টি, ২১৭ কেজি রেজুভেনাশন ক্যাপসুল, ৬৬ কেজি গ্র্যাপ এক্সাক্ট্র ক্যাপসুল, ৬০৪ রোল ফেব্রিক্স, ১১ রোল ফ্লিচ ফেব্রিক্স, ৪৩ কার্টন প্লাস্টিক হ্যাংগার, ১১ হাজার ১১০ পিস টপ হ্যাংগার, ১ হাজার ১০ কেজি কটন কটন ড্রকর্ড, ৯৮ রোল কটন ফেব্রিক্স, ১২০ রোল ওভেন ফেব্রিক্স, ১০২ জোড়া জুতা, ৮০ রোল গাম টেপ, ৬৬ হাজার ১৮০ পিস মেনস পোলো টি শার্ট, ১৫ হাজার ৮৯৪ পিস স্টোন টাইলস, ২৪৮ পিস নতুন ক্যাপিটাল মেশিনারি, ২ হাজার ৩০৪ পিস প্লাস্টিক ব্লক, ২২৭ বক্স মেনস পোলার ফ্লিচ জ্যাকেট, ১৭ হাজার ১৯০ পিস মেনস শর্ট।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখা সূত্রে জানা গেছে, অনলাইন নিলামে অংশগ্রহণকারীদের জাতীয় পরিচয়পত্র ও হালনাগাদ আয়কর সনদ এবং প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, মূসক নিবন্ধন সনদ ও হালনাগাদ আয়কর সনদ থাকতে হবে। দরদাতাকে কোটেশন মূল্যের কমপক্ষে ১০ শতাংশ অর্থ জামানত যে কোনো তফসিলি ব্যাংক থেকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনারের অনুকূলে পে–অর্ডার, ব্যাংক ড্রাফট অথবা ডিডির স্ক্যান কপি অনলাইনে দাখিল করতে হবে। এছাড়া এসব ডকুমেন্টের মূল কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রতি লটের প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত প্রথম ও দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতাকে আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর নিলাম শাখার রাজস্ব কর্মকর্তার দপ্তরে দাখিল করতে হবে।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ২৭ ও ২৮ অক্টোবর ১৬ লট বিভিন্ন ধরনের পণ্য নিলামে তোলার মাধ্যমে ই–অকশনের যাত্রা শুরু হয়। এরপর ২০২১ সালের ১৯ ও ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় ২০ লট পেঁয়াজ নিলামে তোলা হয়। এছাড়া একই বছরের ৩ ও ৪ নভেম্বর কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা বিলাসবহুল ১১২ লট গাড়ি তোলা হয়। দ্বিতীয় দফায় ১২ ও ১৩ জুন কার্নেট ডি প্যাসেজ বা শুল্কমুক্ত সুবিধায় আসা ১০৮টি গাড়ি পুনরায় নিলামে তুলে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সর্বশেষ গত বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর ৭৮ লট কার্নেট গাড়ি নিলামে তোলা হয়।
চট্টগ্রাম নিলাম শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা ও অনলাইন নিলামের সুপারভাইজার তুহিন চৌধুরী দৈনিক আজাদীকে বলেন, অনলাইন প্রক্রিয়ায় ২৩ লট পণ্যের নিলামে তোলা হয়েছে। আগ্রহী বিডাররা প্রয়োজনীয় শর্তপূরণ করে আগামী ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নিলামে অংশ নিতে পারবেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসক নীতি) মো. মাসুদ সাদিক চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ই–অকশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।