বেশিরভাগ মানুষের বেলাতেই জেনারেটিভ এআই কর্মসংস্থান কেড়ে নেবে না। এর বদলে আংশিক স্বয়ংক্রিয় হবে তাদের কাজ, আর বেঁচে যাওয়া সময়টি তারা অন্য কাজে লাগাতে পারবেন। এমন তথ্য উঠে এসেছে জাতিসংঘের এক গবেষণায়। তবে, গবেষণাটি সতর্ক করে দিয়েছে, এআইয়ের ধাক্কা সবচেয়ে বেশি লাগবে দাপ্তরিক পেশাগুলোয়, যার ফলে বেশি ঝুঁকিতে পড়বে নারীদের কর্মসংস্থান। এর কারণ হিসাবে এই সেক্টরে নারীকর্মীদের সংখ্যা তুলনামূলক বেশি থাকার কথা উঠে এসেছে গবেষণায়। খবর বিডিনিউজের।
জেনারেটিভ আই ব্যবহারের সুফলতা নিয়ে চারদিকে তুমুল শোরগোলের পাশাপাশি এআই চ্যাটবটের ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে জনমনে ছড়িয়ে গেছে বেকারত্বের ভয়। অতীতে দেখা গেছে, বিশ শতকের শুরুতে যখন কারখানায় অ্যাসেমব্লি লাইনের প্রচলন ঘটে বা ৫০–এর দশকে মেইনফ্রেম কম্পিউটার প্রচলনের সময়েও একই রকম ভয় তৈরি হয়েছিল। তবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) করা গবেষণাটি বলেছে, বেশিরভাগ পেশা ও সেক্টরে আংশিক অটোমেশন হওয়ার ফলে এআই মানুষের বিকল্প হওয়ার বদলে সহযোগী হিসাবে কাজ করবে। যার অর্থ প্রযুক্তিটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হবে, এর ফলে কাজের পরিমাণ বাড়বে।
জেনারেটিভ এআইয়ের লেখা, ছবি, সাউন্ড, অ্যানিমেশন ৩ডি মডেল তৈরির সক্ষমতার কারণে এ ধরনের পেশার সঙ্গে অন্যান্য ডেটা অনুযায়ী দাপ্তরিক কাজগুলোর ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়বে বলে উঠে এসেছে গবেষণায়। বিশেষ করে যেগুলোর সিকিভাগ স্বয়ংক্রিয় হওয়ার উচ্চ সম্ভবনা রয়েছে। অন্যদিকে ব্যবস্থাপক, বিক্রয়কর্মীর মতো পেশাগুলোয় প্রভাব পড়বে সবচেয়ে কম। তা সত্ত্বেও কর্মসংস্থানের ওপর জেনারেটিভ এআইয়ের থাবা হবে নিষ্ঠুর বলেছে জাতিসংঘের এই সংস্থাটির প্রতিবেদনে। তাই নীতি নির্ধারকদের জন্য আমাদের এই গবেষণাটি কোনো আশ্বাসবাণী নয়, বরং প্রযুক্তিগত পরিবর্তন তৈরি প্রভাবকে আমলে নিয়ে উপযুক্ত নীতিমালা তৈরির আহ্বান।