গ্রামীণ টেলিকমে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের বিচার শুরু হয়েছে। শ্রম অধিদপ্তরের করা এই মামলায় গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে শ্রম পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। তিনি জবানবন্দিতে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করার অভিযোগগুলো নিয়ে কথা বলেন। এরপর ইউনূসের পক্ষে তাকে জেরা করেন তার কৌঁসুলি আবদুল্লাহ আল মামুন। খবর বিডিনিউজের।
সাধারণত মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয় বাদীর জবানবন্দি নেওয়ার মধ্য দিয়ে। দুই বছর আগে এই মামলাটি করেছিলেন শ্রম পরিদর্শক মো. আরিফুজ্জামান। তবে আরিফুজ্জামান মারা যাওয়ায় বাদী হিসেবে শ্রম অধিদপ্তরের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তরিকুল। আশরাফুজ্জামান মারা যাওয়ার পর বাদী হিসাবে তার স্থলাভিষিক্ত হতে আদালতের অনুমতি নিয়েছিলেন কি না, জেরায় জানতে চাওয়া হয় তরিকুলের কাছে। আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আজ এ খবর আনুষ্ঠানিকভাবে এ আদালতকে জানালেন। তার আগ পর্যন্ত এ আদালতের অনুমতি আপনি নেননি। এই ১০ মাস বাদী ছাড়া কীভাবে এ মামলা চলল?
জেরা শেষ না হওয়ায় শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা আগামী ৩১ আগস্ট অবশিষ্ট জেরার জন্য তারিখ ঠিক করে সেদিন পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। বাদী পক্ষে আদালতে আইনজীবী হিসাবে হাজির ছিলেন খুরশীদ আলম। ইউনূস নিজে আদালতে এদিন হাজির ছিলেন না। তিনি আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরা দেন। মামলার অন্য তিন আসামি এদিন আদালতে ছিলেন।
গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে এক যুগ আগে অপসারিত হওয়া ইউনূস ১৯৯৫ সালে গ্রামীণ টেলিকম নামে কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে এর চেয়ারম্যানের পদে রয়েছেন। দেশের বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের মালিকানার ৩৪ শতাংশ এই গ্রামীণ টেলিকমের হাতে।
২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলার অন্য তিন আসামি হলেন– গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান এবং দুই পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।