নিজেদের ভাগ্য বদল করতে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে মেসিকে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়েছিলেন ইন্টার মায়ামির মালিক ডেভিড বেকহ্যাম। কিন্তু মেসির জাদুতে তাদের ভাগ্য এতটা বদলে যাবে সেটা বোধ হয় কল্পনাও করেননি ইংল্যান্ডের এই সাবেক লিজেন্ড। কিন্তু মেসির কাজ যে কল্পনাকেও হার মানানো। একজন মেসির ছোয়ায় বদলে গেল ইন্টার মায়ামির পুরো চেহারা। যে দলটি কোন দিন আমেরিকান ফুটবলের বড় আসর লিগ কাপের সেমি ফাইনালে যেতে পারেনি সে দলটি এখন চ্যাম্পিয়ন। যে দলটি হারতে হারতে তলানিতে পৌছে গিয়েছিল সে দলটি মেসির ছোঁয়ায় টানা সাত ম্যাচ জিতল। আর মেসি করলেন সাত ম্যাচেই গোল। সেই লিগ পর্ব থেকে একে একে সব প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে স্বপ্নের ফাইনালে মায়ামি পেয়েছিল ন্যাশভিল এসসিকে। আর মে ফাইনালেও মেসি করলেন দুর্দান্ত এক গোল। যদিও সে গোল ধরে রাখতে পারেনি তারা। শেষ পর্যন্ত ইতিহাস গড়া ফাইনালে ১১ শটের টাইব্রেকারে ১০–৯ গোলে ন্যাশভিলকে হারিয়ে প্রথমবারের মত শিরোপা জয়ে উল্লাসে মাতে ইন্টার মায়ামি। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ক্লাবটির প্রথম বড় ট্রফি এটি। ভেঙে যায় ন্যাশভিলের প্রথম বড় ট্রফির স্বপ্ন। ৭ ম্যাচে ১০ গোল করে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলস্কোরার মেসি। আসরের সেরা ফুটবলারের পুরস্কারও ওঠে তার হাতেই।
ফাইনালে মায়ামিকে বড় পরীক্ষায় পড়তে হয় । তবে ম্যাচের ২৩ মিনিটে এগিয়ে যায় মায়ামি মেসির চোখধাঁধানো এক গোলে। রবার্ট টেইলরের কাছ থেকে বঙের একটু বাইরে বল পান মেসি। এরপর এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে এগিয়ে যান একটু। তার সামনে তখন ছাতার মতো ঘিরে তিন ডিফেন্ডার। তাদেরকে সুযোগ না দিয়ে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শট বল ঠিকানা খুজে নেয় জালে। প্রথমার্ধে আর গোল হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধের দ্বাদশ মিনিটে কর্নার থেকে ফাফা পিকু গোল করে সমতায় ফেরান ন্যাশভিলকে। এরপর দুই দলই আক্রমণ করে বেশ। ৭০ মিনিটে মেসির শট ফিরে পোস্টে লেগে। ৭৭ মিনিটে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি ন্যাশভিল। শেষ দিকে দুটি সেভ করে মায়ামিকে ম্যাচে রাখেন গোলকিপার ক্যালেন্ডার। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে মায়ামিকে প্রায় জিতিয়েই দিয়েছিলেন লিওনার্দো কাম্পানা। কিন্তু তার শট লাগে ক্রসবারে। টুর্নামেন্টের ম্যাচ গুলোতে অতিরিক্ত সময় না থাকায় ম্যাচ সরাসরি গড়ায় টাইব্রেকারে। আর সেখানেই ১০–৯ গোলে জিতে ইতিহাস গড়ার আনন্দে মাতে মেসি এবং তার দল।
