পরীক্ষা–নিরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর দেশে বিটি তুলার দুটি জাত চাষের জন্য অবমুক্ত করেছে সরকার। কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক আশা করছেন, এই তুলার আবাদ শুরু হলে দেশে তুলার উৎপাদন এখনকার দুই লাখ বেল থেকে বাড়িয়ে ১৫ লাখ বেলে উন্নীত করা সম্ভব হবে। বিশ্বে ১৯৯৬ সালে প্রথম বিটি তুলার চাষ করা হয়। প্রতিবেশী দেশ ভারতে ২০০২ সালে বিটি তুলার চাষ শুরু হয়। বাংলাদেশে বায়োসেইফটি গাইডলাইন অনুযায়ী সব গবেষণা কার্যক্রম শেষ করার পর গত ৭ মে ন্যাশনাল কমিটি অন বায়োসেইফটি ভারতের জে কে এগ্রি–জেনেটিক্স লিমিটেডের উদ্ভাবিত দুটি জাতকে চাষাবাদের জন্য অবমুক্ত করার অনুমোদন দেয়। এগুলো হল জে কে সি এইচ ১৯৪৭ বিটি এবং জে কে সি এইচ ১৯৫০ বিটি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল রোববার বিকালে রাজধানীর ফার্মগেইটে তুলা উন্নয়ন বোর্ডের (সিডিবি) মিলনায়তনে দেশে প্রথমবারের মত এ দুটি বিটি তুলার জাত আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করেন কৃষিমন্ত্রী। খবর বিডিনিউজের।
তিনি বলেন, দেশে বছরে ৮৫ লাখ বেল তুলা প্রয়োজন হয়, আর উৎপাদন হয় দুই লাখ বেল। চাহিদার কমপক্ষে ২০ শতাংশ বা ১৫ লাখ বেল তুলা দেশে উৎপাদন করার সুযোগ রয়েছে। সে লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিয়ে কাজ করতে হবে। হাইব্রিড ও বিটি তুলার চাষ করতে পারলে বছরে দেশে ১৫ লাখ বেল তুলা উৎপাদন সম্ভব হবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মো. বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস, সিডিবির অতিরিক্ত পরিচালক শেফালী রানী মজুমদার বক্তব্য দেন।