বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা নিজেরাই নিজের বড় শত্রু। আমরা পরকে খুশি করতে আপনজনদের বঞ্চিত করি। মরীচিকার পিছনে ছুটে অকৃত্রিম প্রিয়দের হেলায় হারাই সহজে। অন্যের শান্তির কথা ভেবে প্রতিবাদ করি না উপযুক্ত সময়ে; বরং সহ্য করার নামে আপন মনের ক্ষত বাড়াই দিনে– দিনে। আমরা অন্যের চাওয়া – পাওয়ার হিসেব রাখতে রাখতে নিজের মনের ক্ষুধার নিবৃত্তি করি। আমরা আঘাত পেয়েও ভুলে যাই; ক্ষমা করি; আরো বড় আঘাত পাই। সে আঘাতের শক্তি আর সাহসতো নিজেই যোগালাম! বুঝেও শোধরাইনা। করোনা মহামারীর সময় মৃত্যু যখন পায়ে পায়ে, তখন আমরা সকলেই মনে মনে শপথ করেছিলাম আপন শুদ্ধতার। দুঃসময় পেরোতেই আমরা ভুলে গেছি সব। আবার মহাশক্তিধর ভাবছি নিজেদের! যেখানে আমরা নিজের সাথে করা শপথই রাখতে পারিনি, সেখানে অন্যের দেয়া কথার উপর কী করে এতো ভরসা করি? আমরা যাকে ভালোবাসি তাকে ভালোবাসা দেখাইনা, যাকে ঘৃণা করি তাকে বুঝতে দিইনা। মনের চাওয়া আর মুখের কথার ব্যবধানের কারণে কত সুন্দর অনুভূতি অসুন্দর হয়ে যায়! তবু আমরা তাই করি। সেক্রিফাইস আর দায়িত্বের নামে অবিবেচক অমানুষের জন্যও আমরা নিজের অস্তিত্ব বিলীন করে দিই; হাসিমুখেই। যার প্রতিদান কেবল কষ্টই হয়। আসলে জীবনে যোগ–বিয়োগের হিসেবটা খুব সচেতনভাবে করা উচিত। জীবনে সবার অবাধ বিচরণের কোন সুযোগ নেই। হিসেবে গণ্ডগোল হলেই সুখগুলো ভাগের মাপে চললেও, দুঃখ বাড়বে গুনীতক হারে। প্রাপ্তির হিসেব হবে শূন্য। এসব কথা আমরা সবাই বুঝি। তবু মনে রেখেই মানি না। আবেগের ছলনায় ঠকে যাই বারবার। চোখের জল মুছে একগাল হাসিতে আমন্ত্রণ জানাই নতুন এক হতাশাকে। তবু নিজেকে ভালোবেসে কিছু মানুষ পারে না স্বার্থপর হতে। নিজের সাথে শত্রুতা করেই এরা মিত্রতা গড়ে আত্মসম্মানের সাথে। খালি চোখে এর মূল্য বোঝা খুব কঠিন।












