মশা নিধনের নামে তামাশা চলছে : কীটতত্ত্ববিদ মনজুর

| রবিবার , ২০ আগস্ট, ২০২৩ at ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ

দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপের মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর মশা নিধনের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন একজন কীটতত্ত্ববিদ। ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে কীটতত্ত্ববিদ মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেছেন, নীতিনির্ধারকরা অবৈজ্ঞানিক পন্থায় হাঁটছেন। এতে মশা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। মারা যাচ্ছে মানুষ।

অবৈজ্ঞানিক কথাবার্তায় নীতিনির্ধারকরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, মশা নিধনের নামে তামাশা চলছে। ব্যাক্স, ফড়িং আর হাঁস দিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। পৃথিবীর আর কোথাও এমনটা দেখা যায় না। ডোবা নালায় এডিস মশা ব্রিড করে, সেটার কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। খবর বিডিনিউজের।

কেন এই ডেঙ্গু মহামারী? পরিত্রাণ কোন পথে?’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলন ডাকে বাংলাদেশ ভেক্টর ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ। সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সাবেক সভাপতি মনজুর বলেন, যেখানে অল্প সময়ে বেশি সংখ্যক রোগী, যেখানে পাওয়ার কথা না সেখানেও রোগী পাওয়া যায়, সেটাই মহামারী। জুলাই মাসে যে আক্রান্ত এবং মৃত্যু হয়েছে, সেটা আক্ষরিক অর্থেই মহামারী। মানুষ ভয় পেতে পারে, এজন্য সরকার ঘোষণা করতে পারছে না।

বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্ষরিক অর্থেই মহামারী আকার ধারণ করেছে মন্তব্য করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিটি কর্পোরেশনগুলোর উদ্যোগ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেন মনজুর আহমেদ। তার কথায়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যে তথ্য দিচ্ছে তা খণ্ডিত।

জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের একসময়ের চেয়ারম্যান মনজুর পরামর্শ দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি প্রাকৃতিকভাবে বেড়েছে এবং প্রাকৃতিকভাবে কমে যাবে। সিটি করপোরেশন যে কার্যক্রম চালাচ্ছে তাতে খুব বেশি কাজ হচ্ছে না। কীটতত্ত্ববিদের দায়িত্বের জায়গা থেকে আমরা কথা বলছি। ম্যান মসকিউটো এফেক্ট কমাতে হবে। একটি পূর্ণাঙ্গ মশা ৩/৪ সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গু ছড়াতে পারে। উড়ন্ত মশা মারার বিকল্প নেই। ফগিংয়ের মাধ্যমে ২০ শতাংশও মশা মারা সম্ভব নয়। ইউএলভি ফর্মুলার মাধ্যমে এডাল্ট মশা মারতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদেশে জুলাইয়ের মৃত্যু ছাড়িয়ে গেল আগস্টের ১৮ দিনেই
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে ভারতের হস্তক্ষেপ দেখছেন না কাদের