সরকার পতনের ‘এক দফা’ আন্দোলন কেবল বিএনপির বা রাজনৈতিক দলের নয় মন্তব্য করে সব পেশার মানুষকে রাস্তায় নেমে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
গতকাল সোমবার দুপুরে বিএনপি আয়োজিত এক সেমিনারে দলটির মহাসচিব এই আহ্বান জানান। যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ডেনমার্কসহ সাতটি দেশের কূটনীতিকরা এ সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন। খবর বিডিনিউজের।
ফখরুল বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে যে কোনো জাতি যখন তার অধিকারের জন্য লড়াই করে, সংগ্রাম করে, তখন সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হয়। সেখানে সকলে কনট্রিবিউট করতে হয়। আজকে শুধু বিএনপি লড়াই করবে বা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো লড়াই করবে, অন্যান্যরা বসে থাকবে, সেটা হয় না। আজকে সবাইকে নেমে আসতে হবে, সবাইকে রাজপথে নামতে হবে এবং তাদের ভয়েস যেটা, সোচ্চার কণ্ঠে উচ্চারণ করতে হবে। গুলশানে হোটেল লেকশোরে বিএনপির উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম : দুঃশাসনের দেড় দশক’ শিরোনামে এ সেমিনার হয়। তাতে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিউল্লাহ।
মির্জা ফখরুল বলেন, আজকে সকলে সাহস নিয়ে, বুকে সমস্ত শক্তি নিয়ে বেরিয়ে আসতে হবে। আমরা যে ১৯৭১ সালে যে যুদ্ধ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলাম, ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে এসেছিলাম, আজকে আবার সেই গণতন্ত্রকে ফিরে পাবার জন্য, স্বাধীনতাকে সুরক্ষিত করার জন্য, মানুষের অধিকারকে সুরক্ষিত করার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনের তরঙ্গ তুলে, উত্তাল টেউ তুলে এদেরকে সরাতে হবে, চলে যেতে বাধ্য করতে হবে, পদত্যাগ করতে বাধ্য করতে হবে। সংসদ বিলুপ্ত করে একটা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারকে ক্ষমতা দিয়ে এবং নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করে আমাদেরকে নতুন পার্লামেন্ট ও নতুন সরকার দিয়ে জনগণের পক্ষের শক্তিকে ক্ষমতায় নিয়ে আসতে হবে, এটাই হচ্ছে আমাদের কথা।
গণমাধ্যমকে ‘পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করে’ সরকার মানুষের ন্যূনতম সাংবিধানিক অধিকারগুলো কেড়ে নিচ্ছে বলে সেমিনারে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে পার্লামেন্ট, নির্বাচন ব্যবস্থা, প্রশাসন, বিচার ব্যবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করেছে সরকার। সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার সুযোগ দিচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন ফখরুল।