গত কয়েকদিনের টানা বর্ষণে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে ডুবে ছিল বোয়ালখালী শাকপুরা চৌমুহনী বাজারের প্রধান সড়কসহ আশেপাশের অধিকাংশ অলিগলি। এতে চলাচলে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ে স্কুল–কলেজের অসংখ্য ছাত্রছাত্রী ও এলাকার শত–শত নারী–পুরুষ। খবর পেয়ে সরেজমিন পরিদর্শনে যান স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন। এ সময় তিনি দেখতে পান বাজারের পার্শ্ববর্তী কোদালা খালটি দখল করে আছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। তারা খালটির উপর স্থাপনা নির্মাণ করে অবৈধভাবে ব্যবসা করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। ফলে এ খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশন হতে পারছে না বলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে জনদুর্ভোগ বাড়িয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে খালটি উদ্ধার করেন। পরে পানি নিষ্কাশনের জন্য ভরাটকৃত খালটি তৎক্ষণাৎ পুনঃখননের ব্যবস্থা করে জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেন এলাকাবাসীকে।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দিনভর পরিচালিত এ অভিযানে ইউএনওকে সহযোগিতা করেন স্থানীয় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলাউদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় শাকপুরা ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মোনাফ, ইউপি সদস্য মো. কফিল, সম্ভু চৌধুরী, মোজাম্মেল হক মানিক, মো. ছাদেক, অনুপ দাশ, মো. হেলাল ও বোয়ালখালী উপ–সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা মো. খোরশেদ।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয়দের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে আমরা এলাকাটি পরিদর্শন করি।
অভিযোগের সত্যতা পেয়ে কোদালা খাল ভরাট করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান–মেম্বারদের সহযোগিতায় পানি অপসারণে এক্সেভেটর দিয়ে খালটির পুনঃখনন কাজ শুরু করা হয়।