স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার ৪৮০০ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার খাদ্যসহায়তা তুলে দেওয়া হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১১ আগস্ট) সকালে বন্যা কবলিত চকরিয়া ও পেকুয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে এই খাদ্যসহায়তা বিতরণ করেন সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান এমপি।
এ সময় সাথে ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম এমপি, কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, কক্সবাজার-২ আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান, চকরিয়ার ইউএনও জেপি দেওয়ান, পেকুয়ার ইউএনও পূর্বিতা চাকমা প্রমুখ।
চকরিয়ার ইউএনও জেপি দেওয়ান বলেন, “মন্ত্রী আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চকরিয়ার কাকারায় মাতামুহুরী নদীতীরের তাণ্ডবচিত্র প্রত্যক্ষ করেন। এর পর কাকারা, সাহারবিল ও কোনাখালীতে ২৭৫০ পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।”
এরপর পেকুয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরেও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২০৫০ পরিবারে ত্রাণ তুলে দেন বলে নিশ্চিত করেন পেকুয়ার ইউএনও পূর্বিতা চাকমা।
চকরিয়ার কাকারায় ত্রাণ বিতরণের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশে বলেন, “বন্যা শুরুর পর থেকে আপনাদের এমপি জাফর আলম সার্বক্ষণিক আপনাদের পাশে রয়েছেন। আপনারা যে কষ্ট পাচ্ছেন সেই দুঃখ-দুর্দশা স্বচক্ষে দেখার জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পাঠিয়েছেন। অতএব শেখ হাসিনা যতদিন রাষ্ট্রক্ষমতায় আছেন ততদিন বাংলার মানুষকে চিন্তা করতে হবে না।”
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, “ইতোমধ্যে কক্সবাজারে বন্যায় ঘরবাড়ি হারানো পরিবারগুলোকে নতুন করে পুনর্বাসনের জন্য ১০০০ বান্ডিল ঢেউটিন এবং সাথে ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখনো অনেক স্থানে বানের পানি রয়ে গেছে। পুরো পানি নামার পর বন্যায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কয়েকদিনের মধ্যে সেই চিত্র পাওয়া যাবে। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক, কালভার্ট, বেড়িবাঁধ পুনরায় নির্মাণ করে দেওয়া হবে। আর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে যাতে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় আনা হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
কক্সবাজার-১ আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম বলেন, “স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সবকিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছে এমন পরিবারগুলোকে এক মাসের বিশেষ ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। এজন্য আমার পক্ষ থেকে মন্ত্রীর সঙ্গে সার্বিক কথা হয়েছে। তিনি প্রকাশ্যে আশ্বস্ত করেছেন এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে।”