পলিথিন আমাদের জাতীয় সমস্যা। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হলে আমাদেরকে পলিথিন ব্যবহারের সংযত হতে হবে। কারণ পলিথিন বন্ধ করা যাবে না। পলিথিন বন্ধের আইন বাস্তবে কার্যকারিতা হয়নি। পলিথিন থাকবে। তবে এটার ব্যবহারের ব্যাপারে আমাদের আরো সংযত হতে হবে। নালানর্দমা খালে বিলে নদীতে সর্বত্রে পলিথিন আর পলিথিন, বাসা থেকে বের হলে যতটুকু চোখ যায়, শুধু পলিথিন আর পলিথিন। পলিথিনের কারণে নালানর্দমার পানি নিষ্কাশন হচ্ছে না। নগরে মশার উপদ্রব বেড়ে চলেছে। শহরের খোলা ডাস্টবিনগুলোতে পলিথিনের ছড়াছড়ি। সামান্য বাতাস এলে এগুলো উড়ে গিয়ে নালানর্দমা ভরপুর হয়ে যায়। আমরা যত্রতত্র পলিথিন ফেলছি বলে আজ চারপাশে পরিবেশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। দোকান থেকে জিনিসপত্র কিনলে হাতে পলিথিন ধরিয়ে দেয়। হাতে ব্যাগ নিয়ে আমরা বাজারে যেতে অনীহা দেখাই এভাবে আমাদের চারপাশের পরিবেশ পলিথিনে সয়লাব হয়ে গেছে। পরিবেশবান্ধব নগর গড়ে তুলতে হলে পলিথিনের ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। আইন করে সবকিছু বাস্তবায়ন হয় না। পলিথিন ব্যবহারে চাই জনসচেতনতা। এখানে সেখানে পলিথিন ফেলা যাবে না। ব্যবহারকৃত পলিথিন নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে। আসুন পলিথিন ব্যবহারে সংযত হই।
মোশাররফ হোসেন রোটন
বশর মার্কেট,
বিবিরহাট, চট্টগ্রাম।