ব্যালট পেপার সকালে পাঠানোর চিন্তা ইসির

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ।। সিসি ক্যামেরার চিন্তাভাবনা নেই, আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের স্বাগত

| সোমবার , ৭ আগস্ট, ২০২৩ at ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ

সুষ্ঠু নির্বাচনের কৌশল হিসেবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপার ভোটের দিন সকালে কেন্দ্রে পাঠানোর চিন্তা করছে নির্বাচন কমিশন। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ‘রাতের ভোট’ নিয়ে সমালোচনার প্রেক্ষাপটে পরবর্তী নির্বাচনে নিজেদের এই কৌশল জানালেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

২০১৮ সালে একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি অভিযোগ তুলেছিল, ব্যালট বাক্স রাতেই ভরে রাখা হয়েছিল, অর্থাৎ ভোট রাতেই হয়ে গেছে। গত বছর জাপানের রাষ্ট্রদূত এই প্রসঙ্গে কথা বলার পর তা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা তৈরি করেছিল। খবর বিডিনিউজের।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ব্যালট পেপারের ‘অপব্যবহার’ ঠেকাতে কিছু কৌশল নেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানান নির্বাচন কমিশনার আলমগীর। তিনি গতকাল নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, এবারও ব্যালট পেপারে নির্বাচন হবে। আগেও যেভাবে এগোনো হয়েছে, এবারও সেভাবেই হবে। ব্যালটে নির্বাচনে যাতে কোনো রকম অপব্যবহার না হতে পারে সেজন্য আমাদের কিছু কৌশল আছে, সেগুলো আমরা প্রয়োগ করার চেষ্টা করব।

তিনি বলেন, আমরা যতগুলো নির্বাচন ব্যালটে করেছি, ব্যালট পেপার সকালে পাঠানো হয়েছে। আমরা জাতীয় নির্বাচনে ক্ষেত্রেও হয়ত এ ধরনের চিন্তাভাবনা হতে পারে। তবে যেসব কেন্দ্রের যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ, সেখানে সকালে পাঠানো সম্ভবপর না হলেই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় আগের রাতেই পাঠাতে চায় ইসি।

আলমগীর বলেন, যেগুলোতে সকালে ব্যালট পেপার পাঠানো সম্ভব, সেগুলোকে চিহ্নিত করা এবং যেখানে পাঠানো সম্ভব নয়, যোগাযোগ উন্নত নেই, সেখানে আমরা বিশেষ ব্যবস্থায় রাতে ব্যালট পেপার পাঠাব। যাবে কোনো রকম পথে যেন মিসইউজ বা ছিনতাই না হতে পারে।

ইসি সচিবের দায়িত্ব পালনের পর এখন কমিশনারের দায়িত্ব পালনরত আলমগীর বলেন, যোগাযোগ যেখানে ভালো, ভোট ৪টায় (পাঠানো) শুরু করলে ভোট শুরু (সকাল ৮টা) হওয়ার আগেই পৌঁছাতে পারবে, সে সমন্ত কেন্দ্রে আমরা সকালে ব্যালট পাঠাই।

এ বছরের ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন। এবার ৩০০ আসনেই ভোটগ্রহণ হবে ব্যালট পেপারে।

সিসি ক্যামেরার চিন্তাভাবনা নেই : জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের চিন্তাভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার আলমগীর। তিনি বলেন, (ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের) এ বিষয়টি আমাদের মধ্যে আলোচনাও হয় নাই তেমন। চিন্তাভাবনা নেই। কারণ জানেন যে ৩০০ আসনে যখন ভোট হয়, ৪ লাখ কেন্দ্র থাকে। সেখানে হয়ত বেশ কিছু ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্র থাকবে, এতগুলো কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা লাগিয়ে তা দেখা কঠিন। আমরা সেক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে বিশেষ ব্যবস্থা চিহ্নিত করে ফোর্স বাড়ানো ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বেশি সদস্য নিয়োগ করা হতে পারে। সব দল নির্বাচনে অংশ নিলে অনিয়ম ঘটনার সম্ভাবনাও কমে আসে বলে মনে করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের স্বাগত : নির্বাচনে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের সবসময় স্বাগত জানানোর কথা বলেছেন মো. আলমগীর। তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলছি, বিদেশি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক যত খুশি আসতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো লিমিটেশন করা নেই। তারা আমাদের কাছে আবেদন করলে সেটা পাঠিয়ে দিই পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে। এরপর ভিসা দেওয়া হলে আমাদের তরফ থেকে আপত্তি থাকে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজোয়ার-ভাটার সময়সূচি
পরবর্তী নিবন্ধএসএসসিতে ৭১,১০৮টি খাতা পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন