পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক–ই ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে গ্রেপ্তার দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জানা যায়, ইমেইলে পাঠানো এক প্রশ্নের জবাবে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, ইমরান খান এবং অন্যান্য রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধে মামলা পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমরা গোটা বিশ্বের মতো পাকিস্তানেও গণতান্ত্রিক নীতি ও আইনের শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
পাকিস্তানের ‘দ্য ডন’ পত্রিকা জানায়, যুক্তরাষ্ট্রের যেসব আইনপ্রণেতা সাধারণত ইমরান খানকে সমর্থন করেন, তারা এখন পর্যন্ত নীরব। তবে মুখ খুলেছেন রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও বিশেষজ্ঞরা। খবর বিডিনিউজের।
ওয়াশিংটনের উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মাইকেল কুগেলম্যান টুইটে বলেছেন, কিছুদিন আগেই পাকিস্তান সরকার পদত্যাগের প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের পথ তৈরি করায় রাজনৈতিক সংকট কিছুটা কমেছে বলে মনে হচ্ছিল। কিন্তু এখন, ইমরান খানকে আবার গ্রেপ্তার এবং নির্বাচন বিলম্বিত করার ইঙ্গিত দিয়ে সব বাজি পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হল।
এ বছর নভেম্বরে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও দেশে নতুন আদমশুমারির কাজ শুরু হওয়ায় ভোট কয়েক মাস পিছিয়ে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন দেশটির আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার। যার অর্থ, এ বছর নভেম্বরে যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল তা অন্তত কয়েক মাস পিছিয়ে যেতে পারে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, সাধারণ মানুষের মধ্যে ইমরানের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। তাই প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নেতৃত্বাধীন বর্তমান জোট সরকার নির্বাচন এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
তোষাখানা মামলায় ইসলামাবাদের একটি আদালত গত শনিবার ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে। রায়ের কিছুক্ষণের মধ্যেই লাহোর থেকে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
সাজা পাওয়ার পর সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনে অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গ্রেপ্তার এবং দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ইমরান খান আর পিটিআই চেয়ারম্যান পদ ধরে রাখতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জুলফিকার আহমেদ ভুট্টো।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ আগামী ৯ অগাস্ট, অর্থাৎ তার সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন দিন আগে বর্তমান পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে ঠিক কবে নাগাদ নির্বাচন আয়োজন করা যাবে সে সিদ্ধান্ত পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন নেবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।