ভূমি মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি বলেছেন, একজন সফল উদ্যোক্তা সবসময় পরিবর্তনের জন্য কাজ করে, সুযোগের অনুসন্ধান করে এবং প্রতিটি সুযোগকে কাজে লাগায়। তাই কৃষি উদ্যোক্তা বিকাশে সম্ভাব্য সব রকম সহায়তা প্রদান করা হবে। এজন্য কৃষি উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দিতে ও তাদের দক্ষতা বাড়াতে ইউসিবি কাজ করছে। সামগ্রিকভাবে কৃষির উন্নয়ন ও খাদ্য নিরাপত্তা বাড়াতে এখন কৃষি উদ্যোক্তা তৈরি ও তাদের উৎসাহিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সারা দেশে কৃষি উদ্যোক্তারা কে কী ফসল চাষ করবে, কোন ধরনের কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাত করবে, তাদের কী সহযোগিতা দরকার– এসব বিষয়ে দেখভাল, সহযোগিতা করা দরকার।
মন্ত্রী গতকাল শনিবার সকালে চট্টগ্রামের নেভি কনভেনশন সেন্টারে ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির সিএসআর কার্যক্রমের আওতায় জেলার কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য আয়োজিত এক দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের উদ্যোগের কারণে কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদে দেশ বর্তমানে অভূতপূর্ব উন্নতি লাভ করেছে। তিনি কৃষি ও কৃষকের সহায়তায় ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে অন্যান্য ব্যাংক ও বেসরকারি সংস্থাকেও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার আহবান জানান। ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আরিফ কাদরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই উদ্যোক্তা প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংক চট্টগ্রাম অফিসের নির্বাহী পরিচালক এবিএম জহুরুল হুদা, ভরসার নতুন জানালা প্রকল্পের সমন্বয়ক বিশিষ্ট কৃষি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব রেজাউল করিম সিদ্দিক প্রমুখ। এসময় স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও আরিফ কাদরী বলেন, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক কৃষি ও কৃষকবান্ধব ব্যাংক। ব্যাংকের পক্ষ থেকে সহজ শর্তের কৃষি ঋণ বিতরণ এবং কৃষি প্রণোদনা সহায়তা প্রদানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। উন্নত ও সমৃদ্ধ কৃষির বিকাশে সহজ শর্তে ও মানবিক অর্থায়নের সুযোগ সমপ্রসারিত করার লক্ষ্যে ‘ভরসার নতুন জানালা’ প্রকল্পের আওতায় দেশের ৬৪ জেলায় প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কৃষি উদ্যোক্তার প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হচ্ছে। আমরা নানাভাবে চেষ্টা করছি কৃষি ও কৃষকের পাশে দাঁড়াতে।
উল্লেখ্য, ইউসিবির কৃষি–সহায়তা প্রকল্প ‘ভরসার নতুন জানালা’–র আওতায়–সঠিক কৃষি ও খাদ্য উদ্যোক্তা চিহ্নিত করে চাহিদা অনুযায়ী প্রশিক্ষণ প্রদান, ৬৪ জেলার প্রায় সকল উপজেলা থেকে ২৫জন করে নিয়ে মোট প্রায় ১৩,০০০ জন কৃষি উদ্যোক্তাকে দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ প্রদন, ৫০টি মডেল উপজেলার প্রতিটিতে ৬০জন কৃষি উদ্যোক্তার সমন্বয়ে জলবায়ু–সহায়ক শস্য উৎপাদন ও কৃষি যান্ত্রিকীকরণ সুবিধা সমপ্রসারণে ভূমিকা পালন, খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে সহায়তা প্রদানসহ বেশ কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।