তিনদিনের টানা বর্ষণে শঙ্খনদে নেমে এসেছে পাহাড়ি ঢল। তবে এখনো বিপদসীমার নিচে রয়েছে পানির প্রবাহ। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে শঙ্খনদের পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে নদের তীরবর্তী দোহাজারী পৌরসভা, বৈলতলী, বরমা, বরকল, সাতবাড়িয়া, পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন কালিয়াইশ, মাইঙ্গাপাড়া, ধর্মপুরসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ বন্যা আতংকে রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার দোহাজারী শঙ্খনদের তীরে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পাহাড়ি ঢলের পানি নেমে আসায় শঙ্খনদের পানি তীব্র গতিতে প্রবাহিত হচ্ছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পানির তীব্রতা বাড়ছে, ফলে যে কোনো মুহূর্তে পানি উপচে লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে। এতে চন্দনাইশ–সাতকানিয়ায় বন্যা দেখা দিতে পারে। চলতি মৌসুমে বন্যা দেখা দিলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলে জানান চন্দনাইশের দোহাজারী পৌরসভা ও সাতকানিয়ার পূর্ব কাটগড় ও কালিয়াইশের বাসিন্দারা।
পূর্ব দোহাজারী এলাকার আবু তৈয়ব, পূর্ব কাটগড় গ্রামের দিদার হোসেন ও উত্তর কালিয়াইশ গ্রামের আবদুল আলম সওদাগর জানান, শঙ্খনদের তীরবর্তী চন্দনাইশ ও সাতকানিয়া উপজেলা বন্যাপ্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। প্রতি মৌসুমে ভারী বর্ষণের ফলে শঙ্খনদে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে বন্যা দেখা দেয়। অথচ এ দুই উপজেলার মধ্যদিয়ে চলমান দোহাজারী–কঙবাজার রেললাইনটি বিশাল বেড়িবাঁধের মতো উঁচু করে নির্মাণ করা হলেও দ্রুত পানি নিষ্কাশনের জন্য দেয়া হয়নি পর্যাপ্ত কালভার্ট। ফলে বন্যা দেখা দিলেই বিশাল রেললাইনে পূর্ব দোহাজারী, কালিয়াইশ, ধর্মপুর, কেউচিয়াসহ অধিকাংশ এলাকার পানি আটকে হাজার হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়বে।
শঙ্খচরের কৃষক মোহাম্মদ মারুফ জানান, গত তিনদিনের বৃষ্টিপাতে শঙ্খনদে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদে প্রবাহিত পানি ইতোমধ্যে চরের নিচু অংশে রোপণকৃত অধিকাংশ সবজি ক্ষেতের কাছাকাছি চলে এসেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে নিচু অংশের সমস্ত সবজি ক্ষেত ডুবে যাবে। ইতোমধ্যে কিছু ক্ষেত ডুবো ডুবো অবস্থায় রয়েছে।